এখন আকছার ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শোনা যাচ্ছে সর্বত্র। এক এক জায়গায় ট্রেন দুর্ঘটনার ফলে শত শত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। আহত হচ্ছেন বহু। বলতে গেলে ট্রেন যাত্রা নিয়ে একপ্রকার আতঙ্ক যেন ভর করছে সাধারণ মানুষের মনে। কিন্তু নিরাপদে ট্রেন যাত্রার উপায় আছে কি? এমন কি কোনও উপায় আছে যেখানে আপনি ট্রেন যাত্রা করলেও দুর্ঘটনায় ঝুঁকির ভয় থাকবে না বা কম থাকবে?
যদি নিরাপদে ট্রেন যাত্রা করতে হয় তাহলে মাথায় রাখতে হবে কিছু বিষয়। ট্রেনের সব থেকে নিরাপদ কামরা এবং নিরাপদ সিট সম্পর্কে জানতে হবে। জেনে রাখুন, প্রত্যেকটা ট্রেনে কিন্তু নিরাপদ কামরা এবং নিরাপদ সিট থাকে। তাতে বসতে পারলেই দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার চান্স থাকবে ৯০ শতাংশ। জেনে রাখুন ট্রেনের সবচেয়ে নিরাপদ কামরা এবং সিট কোনগুলো।
ভারতীয় ট্রেনে প্রথম দিকেই যে যাত্রীবাহী কোচ থাকে সেটা হল A-1। এর পরে থাকে B-1, B-2, B-3 ও B-4। যেসব ট্রেনে প্যান্ট্রি কার থাকে সেইসব ট্রেনে প্যান্ট্রি কারসহ কোচটি B-4 এর পরে আসে। এরমধ্যে বেশিরভাগ AC-3 কোচ। এরপরে থাকে S-1 S-2 এবং S-3। এগুলো আসলে স্লিপার কোচ। এরপর আবার সাধারণ কামরা থাকে।
আরও পড়ুন : যখন খুশি ঘুমোনো যাবে না! ট্রেনে ঘুমোতে গেলে এবার মানতেই হবে এই নিয়ম
রেল বিশেষজ্ঞদের মতে ট্রেনের সবথেকে নিরাপদ কামরা হল মাঝখানের কামরাগুলো। B-4 কেই সব থেকে নিরাপদ বলে মানা হয়। দুর্ঘটনার সময়ে ট্রেনের দুই পাশের কামরাগুলোর মানুষেরা সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তবে ট্রেন মাঝে মধ্যেই এই ক্রম পরিবর্তন করে দেয়। অনলাইনে টিকিট কাটার সময় ট্রেনের মাঝের কামরার কোচ কোনটি তা দেখে নিয়ে তবে টিকিট কাটতে হবে।
আরও পড়ুন : কীভাবে ট্রেনে মিডিল বার্থের চেইন আটকাতে হয়? না জানলে দুর্ঘটনা ঘটবেই
এবার আসা যাক ট্রেনের সবথেকে নিরাপদ সিট প্রসঙ্গে। ১৯৭০ সালে ফেডারেল রেলওয়ে সেফটি অ্যাক্টের লেখক ল্যারি ম্যান বলেন একটি কামরাতে যদি ৭২ টি আসন থাকে সেক্ষেত্রে ৩২ থেকে ৩৫ নম্বরের আসন কিংবা সিট সব থেকে নিরাপদ। ভারতীয় রেলের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২২ টি কামরা থাকে। এর মধ্যে ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর কামরা সবথেকে নিরাপদ।