রেলে ভ্রমণ করার জন্য প্রত্যেক যাত্রীকে টিকিট কাটতে হয়। তবুও সামান্য কিছু টাকা বাঁচানোর লোভে বেশ কিছু যাত্রী টিকিট কাটতে চান না। টিটিই এর হাতে ধরা পড়ার ভয় নেই তাদের। তবে একবার ধরা যদি পড়েন তাহলেই কেল্লাফতে। তখন টিকিটের কয়েকগুণ বেশি জরিমানা দিতে হবে। এতে কিন্তু আদতে ভারতীয় রেলের আয়ও হচ্ছে বেশ কয়েক গুণ বেশি।
লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেনের বহু যাত্রী এখনও টিকিট না কেটে যাতায়াত করার দুঃসাহ দেখান। আর এই বিনা টিকিটের যাত্রীদের ধরে তার থেকে কয়েক গুণ বেশি জরিমানা আদায় করে নেয় রেল কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক বছরে মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতার মত শহরগুলোতে বিনা টিকিটের যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে। এই লাইনের একটা বড় অংশ যাত্রীদের মধ্যে টিকিট না কাটার প্রবণতা রয়েছে।
সেন্ট্রাল রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেছেন গতবছর প্রায় ৪৬ লক্ষ বিনা টিকিটের যাত্রী ধরা পড়েছিলেন। অর্থাৎ প্রত্যেক মাসে গড়ে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ টিকিট ছাড়া সফর করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। এদের থেকে রেলের যে আয় হচ্ছে তার কার্যত সাধারণ টিকিট সংগ্রহকারী যাত্রীর থেকেও বেশি।
আরও পড়ুন : দিনের এই সময় আপনার সিটে বসতে পারবে না কেউ,রেলের এই নিয়ম না জানলেই নয়
গত বছর বিনা টিকিটের যাত্রীদের থেকে জরিমানা বাবদ ২৯৮ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল। তার আগের বছর ২৭৫ কোটি টাকা আয় হয়েছিল। অর্থাৎ ১ বছরের মধ্যে টাকার অংকটা ২৩ কোটি টাকা বাড়ে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মধ্যে প্রধানত মুম্বাই এবং তার আশেপাশের অঞ্চলে বিনা টিকিটে যাত্রীদের সংখ্যা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি।
আরও পড়ুন : শুধু টিকিট পরীক্ষা নয়, ট্রেনের এই সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন TTE
বিগত কয়েক বছরে বিনা টিকিটের যাত্রীদের ধরতে রেলের তরফ থেকে অভিযানের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে টিকিট কাটার প্রবণতার খানিকটা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেলেও বিনা টিকিটের যাত্রীদের সংখ্যা কিন্তু খুব বেশি কমেনি। সাম্প্রতিক কালে বিহারে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪২৫৬ জনকে পাকড়াও করা হয়েছে। এদের থেকে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা জরিমানা উঠেছে।