বাংলার পুরনো রাজধানী মুর্শিদাবাদ গেলে কী কী দেখবেন?

বাংলার পুরনো রাজধানী মুর্শিদাবাদ। এখানকার আনাচে-কানাচে আজও নবাবী আমলের ছোঁয়া রয়েছে। রয়েছে হাজারদুয়ারি, ইমামবাড়া, কাটরা মসজিদ আরও কত কি।

প্রায় প্রত্যেকদিন হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয় হাজারদুয়ারি দেখার জন্য। কিন্তু হাজার দুয়ারি ছাড়াও আরও অনেক দেখার জিনিস আছে মুর্শিদাবাদে। কী কী দেখবেন?

হাজারদুয়ারি

সিরাজদৌলার মৃত্যুর ৮০ বছর পর তৈরি হয়েছিল এই প্রাসাদ। আসল-নকল মিলিয়ে হাজারটি দরজার রয়েছে প্রাসাদের। রয়েছে নবাবের আমলের জিনিসপত্র, অস্ত্রশস্ত্র।

ইমামবড়া

শিয়া মুসলিমদের ধর্মস্থান ইমামবড়া রয়েছে হাজারদুয়ারি প্রাসাদের ঠিক পাশে।

খোশবাগ

ভাগীরথী নদীর পেরিয়ে যেতে হয় খোশবাগ। এখানে নবাব আলীবর্দী খান, সিরাজউদ্দৌলা, সিরাজের স্ত্রী লুৎফাউন্নিসা এবং সিরাজের পরিবারের কবর রয়েছে।

কাটরা মসজিদ

নবাব মুর্শিদকুলি খানের আমলে তৈরি এই মসজিদে একসঙ্গে ২০০০ জন প্রার্থনা করতে পারেন। আগে এখানে ৫টি গম্বুজ ছিল। তার মধ্যে দুটি গম্বুজ ভূমিকম্পে ভেঙেছে।

মসজিদের নিচেই রয়েছে মুর্শিদকুলি খানের সমাধি। কাটরা মসজিদ থেকে বেড়ানোর পথে ফুটি মসজিদ এবং কাঠগোলা বাগান দেখে নিতে পারবেন।

জগত শেঠের বাড়ি

জগত শেঠ ছিলেন নবাব আমলের একজন অত্যন্ত ধনী ব্যক্তি। বংশানুক্রমে নবাবদের টাকা ধার দিত তার পরিবার। বর্তমানে এই বাড়িটি একটি মিউজিয়ামে পরিণত হয়েছে।

এছাড়া এখানে দেখতে পারেন মীরজাফরের প্রাসাদ নিমকহারাম দেউরি, নসিপুর রাজবাড়ি, মীরজাফরের কবর স্থান, আজিবুন্নেসার সমাধি।

মতিঝিল

মতিঝিল দেখতে অনেকটা ঘোড়ার নালের মত। এই ঝিল এবং তার সংলগ্ন বাগান দেখতে ভুলবেন না।

এছাড়াও মুর্শিদাবাদের রয়েছে কাশিমবাজার রাজবাড়ি, পলাশীর প্রান্তর যেখানে ইংরেজ এবং নবাবের যুদ্ধ হয়েছিল, রোশনবাগ, ভবানীশ্বর মন্দির ইত্যাদি।