উত্তরবঙ্গের আনাচে কানাচে এমন অনেক অজানা গ্রাম রয়েছে যেখানে গেলে যেন মনে হয় স্বর্গরাজ্য। পাহাড় বলতে যারা শুধু দার্জিলিং আর গ্যাংটক বোঝেন, তাদের অবশ্যই জানা উচিত নাম না জানা এই সব অফবিট পাহাড়ি গ্রাম সম্পর্কে। এরকম একটি গ্রাম হল থাপা গাঁও। যাকে বার্ড প্যারাডাইসও বলা হয়। জানুন এই গ্রামে কীভাবে যাবেন ও কী কী দেখবেন।
থাপা গাঁও পাহাড়ের একটি অফবিট গ্রাম। বেশিরভাগ মানুষ এই গ্রামের নাম জানেন না। যে কারণে এখানকার পরিবেশ খুব শান্ত এবং নিরিবিলি থাকে। এখানে পাহাড়, জঙ্গল, নদী, মেঘ সবই পাবেন। হরেক রকম নাম না জানা পাখি দেখতে পাবেন হোমস্টের জানালার ফাঁক দিয়ে। আশেপাশের পরিবেশ খুবই শান্ত ও মনোরম।
থাপা গাঁও জঙ্গলের একেবারে মাঝখানে অবস্থিত। এখানে জানালার বাইরে তাকালেই মন ভালো হয়ে যায়। নানা সুন্দর পাখি বসে থাকে গাছের ডালে। সকালে ঘুম ভাঙ্গে পাখিদের ডাকে। সন্ধ্যের পর হোমস্টের কটেজে বসে মোমো এবং কফি খাওয়ার মজাই আলাদা। দার্জিলিংয়ের ভিড়ের কারণে বিরক্ত যারা, তারা এইবার ঘুরে আসতে পারেন এই গ্রাম থেকে।
এখানে প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য জঙ্গলের মধ্যে টেন্ট করে থাকার সুবিধা আছে। আসলে থাপা গ্রামে পর্যটকদের ভিড় তেমন হয় না। যে কারণে হোমস্টের সংখ্যা খুব কম। এখানে আসার প্ল্যানিং করতে হলে আগে থেকে বুকিং করে আসতে হয়। বিজনবাড়ি থেকে এখানকার দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার।
থাপা গ্রামের কাছেই রয়েছে ছোট রঙ্গিত নদী। বর্ষাকালে এই নদীর জল বেড়ে যায়। নদীর উপর রয়েছে ছোট্ট একটি ব্রিজ। সেই ব্রিজ পেরিয়ে গেলে মিম টি এস্টেট নামে চা বাগান দেখতে পাবেন। এখানে আসতে হলে শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড় থেকে দার্জিলিঙে আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে পৌঁছবেন।
আরও পড়ুন : সবুজে ঘেরা জঙ্গল, নিরিবিলি পরিবেশ, পাখির ডাক! বর্ষায় ঘুরে আসুন মুনথুম ভ্যালি
আরও পড়ুন : সেলফি জোন থেকে আধুনিক টয়ট্রেন! দার্জিলিংয়ে চালু হল একাধিক মজাদার পরিষেবা
দার্জিলিং থেকে রেলিং যাওয়ার গাড়িতে চেপে এখানে আসা যায়। শেয়ার গাড়িতে আসতে একটু বেশি সময় লাগবে। তবে যদি নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে আসেন তাহলে সময় কম লাগবে। তবে হোম স্টে বুকিং এর সময় যদি গাড়ি নেওয়ার কথা বলেন তাহলে তারাও গাড়ি পাঠিয়ে দেয়।