বর্ষায় এক-দুদিনের ছুটিতে অজানা কোনও জায়গা থেকে ঘুরে আসতে চান? ঘুরে দেখতে চান কোনও ঐতিহাসিক জায়গা? তাও আবার খুবই সস্তায়? তাহলে জেনে নিন আপনার খুব কাছেই রয়েছে এরকম একটি জায়গা। যেখানে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারবেন। ভারতের ইতিহাসের এক ঝলক পেতে হলে আপনাকে আসতেই হবে রাইবনিয়া ফোর্ট।
বাংলায় এবং উড়িষ্যার সীমান্ত থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝারগ্রাম। ১-২ দিনের ছুটিতে কিংবা উইকেন্ডে সময় কাটাতে এখানে আসতেই পারেন। এখানে রয়েছে সুন্দর একটি প্রাচীন দুর্গ। যার নাম রাইবনিয়া ফোর্ট বা দুর্গ। দুর্গর গঠন শৈলী দেখলে চোখে ধাঁধা লেগে যাবে। এখানকার মন্দির এবং গ্রাম্য এলাকা ঘুরে দেখলে মন ভালো হয়ে যাবে।
রাইবনিয়া দুর্গের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাংলার এক প্রাচীন ইতিহাস। ওড়িশার রাজারা কটক এবং পুরী শহরকে রক্ষা করার জন্য সুবর্ণরেখা নদীর ধারে পশ্চিম তীরে এই দুর্গের নির্মাণ করেন। দুর্গের চারপাশে রয়েছে প্রাচীর। এই দুর্গের উপর একসময় মোগল, পাঠানরা আক্রমণ শানিয়েছিল।
আরও পড়ুন : অনেক হল দীঘা-পুরী, এবার ঘুরে আসুন কলকাতার কাছাকাছি এই ৬ সি বিচ থেকে
বাংলা ওড়িশা সীমানার নয়াগ্রাম ব্লকের নেকড়াশোল থেকে দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই দুর্গ। কলকাতা থেকে ট্রেনে গেলে খড়গপুর রেল স্টেশনে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে বাস কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে কেশিয়াড়ি হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের খড়িকামাথানি পৌঁছাতে হয়। এখান থেকে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটারের রাস্তা টোটোতে করে গেলেই পৌঁছে যাবেন দুর্গের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন : বেড়ানোর টাকা জমান এইভাবে, জীবনেও পকেটে টান পড়বে না
আরও পড়ুন : কলকাতায় গেলে কোথায় কোথায় ঘুরবেন? রইল কলকাতার সেরা দর্শনীয় স্থানের তালিকা
আবার জলেশ্বর হয়েও রাইবনিয়াতে আসতে পারেন। জলেশ্বর থেকে এখানকার দূরত্ব ১৯ কিলোমিটার। লক্ষণনাথ রোড স্টেশনে নেমে ছোট গাড়ি ভাড়া করতে হবে। দাঁতনের পথ ধরে আসলে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে ৭ কিলোমিটার পথ পেরোতে হয়। কলকাতা থেকে দাঁতন পৌঁছে সেখান থেকে ছোট গাড়ি ধরে সুবর্ণরেখা নদীর উপর সেতু পেরিয়ে এখানে পৌঁছানো যায়। এখানে থাকার জন্য জলেশ্বর, পশ্চিমবঙ্গের নয়াগ্রামের খড়িকামাথানিতে বেসরকারি লজ পাবেন বেশ কিছু।