টেরাকোটা মন্দিরের ছড়াছড়ি! ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে ঘুরে আসুন পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রাম থেকে

Published on:

travel-visit-to-purba-bardhaman-sribati-village

পশ্চিমবঙ্গের প্রায় প্রত্যেকটি জেলাতেই একাধিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এমনই কিছু দর্শনীয় স্থান রয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও। এখানে অনেক প্রাচীন মন্দিরের দেখা মিলবে। মন্দিরগুলোর গায়ে টেরাকোটার শিল্পকলা রয়েছে। কথা হচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের শ্রীবাটি গ্রামকে নিয়ে। যদি প্রাচীন ইতিহাসকে নিজের চোখে দেখতে চান তাহলে চলে আসুন এই গ্রামের।

পূর্ব বর্ধমান জেলার শ্রীবাটি গ্রামে একাধিক মন্দির রয়েছে। এখানকার টেরাকোটা মন্দিরগুলোর গায়ে পোড়ামাটির উপর সূক্ষ্ম কারুকার্যের দেখা মিলবে। এখানে তিনটি অষ্টকোনাকৃতি মন্দির রয়েছে। যে মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এই গ্রামের চন্দ্র পরিবার। আদতে এই পরিবার গুজরাট থেকে এসেছিল। চন্দ্র পরিবারের নুনের ব্যবসা ছিল। ধনী ব্যাবসায়ী এই পরিবার ছিল গ্রামের মধ্যে একটি মান্যগণ্য পরিবার।

Sribati

শ্রীবাটি গ্রামের এই তিনটে মন্দিরে তিন মহাদেবের পুজো হয়। এই মন্দিরগুলো নাকি প্রায় ২৫০ বছরের পুরনো। মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন রামকানাই চন্দ্র। তিনি আসলে তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই মন্দির বানিয়েছিলেন। মন্দিরের দেওয়ালের গায়ে তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন ঘটনাবলীর চিত্র ফুটে উঠেছে। তৎকালীন সময়ের ইংরেজ শাসন এবং সমাজ ব্যবস্থার নানা দিক চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

কীভাবে যাবেন?

পূর্ব বর্ধমান পৌঁছে কাটোয়া-মালডাঙ্গা রোডের কুরচি মোড়ে আসতে হবে। এখান থেকে শ্রীবাটি গ্রামের দূরত্ব খুবই কম। গ্রামে ঢুকলেই তিন মন্দির বলে খোঁজ করলে স্থানীয় বাসিন্দারাই পথ দেখিয়ে দেবেন।

আরও পড়ুন : কত কেজি সোনা রয়েছে কালীঘাট মন্দিরের চূড়ায়?

Sribati

আরও পড়ুন : হোটেলে নয়, বেড়াতে গিয়ে এই জায়গায় থাকলে বেঁচে যাবে হাজার হাজার টাকা

কোথায় থাকবেন?

এখানে ঘোরার ব্যবস্থা থাকলেও থাকা এবং খাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। যদি কেউ থাকায় এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করতে চান তাহলে কাটোয়া শহরের কোনও হোটেলে থাকতে পারেন।