উত্তরবঙ্গ, বাংলার উত্তরাংশ জুড়ে রয়েছে একাধিক ছোট ছোট অজানা পাহাড়ি গ্রাম। যার নামই হয়তো বেশিরভাগ মানুষ শোনেননি। কিন্তু যারা এখানে এসেছেন স্বর্গসুখের আভাস পেয়েছেন প্রকৃতির কোলে। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল উত্তরবঙ্গের এমনই এক অজানা সুন্দর গ্রামের সম্পর্কে তথ্য। বর্ষার সময় ঘুরে আসতে পারলে ভালোই লাগবে জায়গাটা।
কোথায় যাবেন?
যদি আপনি কোনও অজানা পাহাড়ি গ্রামের খোঁজে থাকেন তাহলে ঘুরে আসতে পারেন বুনকুলুং গ্রাম থেকে। এখানে লিম্বু জনজাতিদের বাস। লিম্বুদের ভাষায় বুন কথার অর্থ ফুল এবং কুলুং কথার অর্থ পাথর। অর্থাৎ পাথরের ফুল। মিরিক থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এই গ্রাম। যাতায়াতে খুব একটা সমস্যা হবে না।
এই গ্রামকে দেখলে মনে হয় যেন ঈশ্বর নিজের হাতে সাজিয়েছেন। এখানে পাহাড়, জঙ্গল, নদী, অনেক রকম পাখির দেখা পাবেন। এটিকে মডেল গ্রাম বলা চলে। এখানে আপনি কোনও বড় বড় হোটেল পাবেন না। কিন্তু জঙ্গলে ক্যাম্প করে থাকতে পারবেন। সেরকম মজা হোটেলের বিলাসবহুলতার মধ্যে পাবেন না।
এখানে জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে কটেজ। শান্ত নিরিবিলি পাহাড়ি পরিবেশে কয়েকটা দিন কাটাতে পারলে মানসিক চাপ দূর হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি এখানে ট্রেকিং করতে পারবেন। ট্রেকিং, সারভাইভাল ক্যাম্প, নেচার ক্যাম্পের সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে।
কোথায় থাকবেন?
এখানে আপনি হোম স্টেগুলোতে থাকতে পারবেন। মোট ৭ টি হোম স্টে রয়েছে। মাত্র ১ হাজার ৫০০ টাকায় তিন বেলার খাওয়া এবং থাকা হয়ে যাবে। এছাড়া অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীরা জঙ্গলের মধ্যে ক্যাম্প করে থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন : মেঘের আড়ালে লুকিয়ে ছোট্ট গ্রাম! ভরা বর্ষায় ঘুরে আসুন সিকিমের এই অফবিট লোকেশন থেকে
আরও পড়ুন : এই পৃথিবীর বুকেই একফালি স্বর্গ! ঘুরে আসুন বাংলার এই অফবিট গ্রাম থেকে
কীভাবে যাবেন?
এনজিপি থেকে মিরিক হয়ে বুনকুলুং ৫০ কিলোমিটারের পথ। আপনি সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন। আবার দার্জিলিং মোড় কিংবা এনজেপি থেকে বা তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে শেয়ার গাড়ি ধরে প্রথমে মিরিকে পৌঁছানো যায়। এরপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে এখানে পৌঁছাতে হয়।