ভরা বর্ষায় অনেকেই পাহাড় দেখতে যান। পাহাড়ের অপরূপ মায়াবী প্রকৃতির টান উপেক্ষা করে আর বৃষ্টির ভয়ে বাড়িতে বসে থাকতে পারা যায় না। হাতের কাছেই রয়েছে দার্জিলিং। কিন্তু দার্জিলিং তো আকছার সকলেই যাচ্ছেন। এবার বরং ঘুরে আসুন দার্জিলিং এর খুব কাছের মিরিক থেকে। যেখানে গেলে নৈনিতাল কিংবা কাশ্মীরের কথা ভুলে যাবেন।
দার্জিলিং থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব রয়েছে মিরিক। অনেকে উত্তরবঙ্গে গিয়ে শুধু দার্জিলিং আর গ্যাংটক ঘুরে চলে আসেন। অদেখা থেকে যায় দার্জিলিং এর আশেপাশের এলাকাগুলো। যেগুলো সৌন্দর্য কিন্তু কিছু কম নয়। হাতে কম সময়ে থাকলে এই বর্ষাতে ঘুরে আসতে পারেন মিরিক থেকে।
বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই দার্জিলিংয়ের জায়গায় জায়গায় ধ্স নামছে। সেই দিক থেকে কিন্তু মিরিক খুবই নিরাপদ জায়গা বলা যেতে পারে। বর্ষার মধ্যেও আপনি নিরাপদে ঘুরে ফেলতে পারবেন মিরিক। মিরিক শব্দের অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া স্থান। এখানে গেলে সত্যি আর ফিরে আসতে ইচ্ছে করবে না।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৭৬৭ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মিরিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বেশ বিখ্যাত। এখানে চা বাগান রয়েছে। রয়েছে অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ। এখানে গেলে অদ্ভুত এক ভালো লাগা এবং প্রশান্তি কাজ করবে মনে।
মিরিকে গিয়ে আপনি চারিদিকে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে সবুজ সুন্দর চা বাগান দেখতে পাবেন। লেকের পাড়ে বসে উচু পাহাড় এবং চা বাগান দেখতে দারুণ লাগবে। এখানকার লেকে অনেকে বোটিং করেন। সেও এক সুন্দর অনুভূতি। মিরিকে যাওয়াও এমন কোনও ঝকমারির ব্যাপার নয়।
আরও পড়ুন : বর্ষায় পাহাড়ে ঘুরতে যাচ্ছেন? এই ৫ বিষয় মাথায় না রাখলে বিপদে পড়বেন
আরও পড়ুন : ভুলেও অমরনাথ যাত্রা শুরুর আগে করবেন না এই কাজ, নাহলে চরম বিপদে পড়বেন
আপনি বিমান পথে মিরিকে যেতে পারেন। তার জন্য আপনাকে বাগডোগরা বিমানবন্দর পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর সেখান থেকে ট্যাক্সি বুক করে সরাসরি পৌঁছে যেতে পারেন মিরিক। বা বাইক ভাড়া করে নিয়ে সুন্দর পাহাড়ি উপত্যকার মধ্য দিয়ে নিজেই পৌঁছে যেতে পারবেন মিরিক। এখানে অনেক হোটেল রয়েছে। তবে যাওয়ার আগে হোটেলের বুকিং করে যাওয়াই ভালো।