বর্ষার সময় নতুন কোনও বেড়াতে যাওয়ার জায়গার খোঁজে যদি থাকেন তাহলে চোখ বন্ধ করে চলে যান মৈনপাট। অনেকে একে মিনি তিব্বত বলেন। অবশ্য এর যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এখানে প্রধানত তিব্বতিদের বাস। সবুজ পাহাড়ের দেশে তিব্বতিদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য দেখতে যদি চান তাহলে ছত্রিশগড় রাজ্যের এই মিনি তিব্বত ঘুরে যেতে যেন ভুলবেন না।
মৈনপাটকে দেখলে যেন মনে হয় হাতে আঁকা কোন ছবি। বর্ষায় এখানকার পাহাড় ঢেকে যায় সবুজে। পাহাড়ের পথে যেন সবুজ ঘাসের গালিচা বিছিয়ে দেয় কেউ। কুচকুচে কালো মসৃণ পিচের রাস্তা সেই সবুজের মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে। বহু বছর আগে এখানে তিব্বতিরা বসবাস করতে শুরু করেন। সেই থেকে এই জায়গা তাদেরই দখলে রয়েছে।
পাহাড়ে ঘেরা এই শহরের বুকে একাধিক বৌদ্ধমঠ রয়েছে। এছাড়া এখানে রয়েছে উল্টা পানি, যার জল উল্টোদিকে প্রবাহিত হয়। উপর থেকে নিচে নয়, নিচ থেকে উপরে যায় এর জল। কাগজের নৌকা ভাসিয়ে দিলে ব্যাপারটা বেশ স্পষ্ট বুঝতে পারবেন। আর এখানে দেখবেন জলজলি পয়েন্ট, বেশ কিছু ঝরনা ও মন্দির দেখতে পাবেন। বক্সাইটের খনিও আছে এখানে। এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এতটাই সুন্দর যে একে অনেকে ছত্রিশগড়ের সিমলাও বলেন।
আরও পড়ুন : লেকের জলে হাউজবোটে সূর্যাস্ত দেখতে চান? ঘুরে আসুন এই ৫ জায়গা থেকে
এখানে পরপটিয়া ফিশ পয়েন্ট রয়েছে। রয়েছে জলজলি পয়েন্ট, যেখানে লাফালে যেন মনে হয় জায়গাটিও লাফাচ্ছে। তাই এই জায়গাকে বাউন্সিং গ্রাউন্ড বলা হয়। ঘুরে দেখতে পারেন টাকপো মঠ, টাইগার পয়েন্ট জলপ্রপাত, রাজপুরী জলপ্রপাত। শুধু ঘোরাঘুরি নয়, এখানে যত খুশি তত তিব্বতি খাবার খেতে পারবেন। চেখে দেখতে পারেন ছত্রিশগড়ের ধুসকা, আলু চোখা, পুরী।
আরও পড়ুন : বৃষ্টির দিনে লং ড্রাইভে যাবেন? পার্টনারকে নিয়ে ঘুরে আসুন ৪ নদীর ধার
আরও পড়ুন : মাত্র ৫০০০ টাকা বাজেটে ভারতের কোথায় কোথায় ঘুরতে পারবেন? দেখুন তালিকা
এখানে যেতে হলে হাওড়া থেকে রাতের সমলেশ্বরী এক্সপ্রেস ধরতে হবে। তারপর ছত্রিশগড়ের ঝাড়সুগুদা স্টেশনে নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে মৈনপাট পৌঁছাতে ছয় থেকে সাত ঘন্টা সময় লাগে। আবার সরাসরি ছত্রিশগড় থেকে গাড়ি নিয়েও এখানে আসা যায়। এখানে থাকার জন্য আপনি বেশ কিছু রিসোর্ট পেয়ে যাবেন। এখানে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।