একা ঘোরার জন্য জায়গা খুঁজছেন? একা একাই বেরিয়ে পড়তে চান কোন অজানা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে? তাহলে আপনার জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে ম্যাকলিওডগঞ্জ। কুলু, মানালি, সিমলা, ডালহৌসি, হিমাচল প্রদেশের এসব জায়গাতে তো আখছার যাচ্ছে সবাই। যদি অফবিট জায়গা পছন্দ করেন তাহলে বেছে নিতে পারেন হিমাচল প্রদেশের ম্যাকলিওডগঞ্জকে। জানুন এই জায়গা সম্পর্কে বিস্তারিত।
ম্যাকলিয়ডগঞ্জ খুবই শান্ত একটি জায়গা। দেবদারু এবং পাইন গাছের জঙ্গল রয়েছে জায়গাটি ঘিরে। এখানকার অধিবাসীরা বেশিরভাগই তিব্বতি। তিব্বতিরা এই জায়গাকে ছোট লাসা নামে ডাকেন। এখানে তিব্বতিদের সাংস্কৃতিক ঐতিহাসিক এবং আধ্যাত্মিকতা দারুন মেলবন্ধন পাবেন। এই জায়গা তিব্বতের ধর্ম গুরু দলাই নামার বাসস্থান ছিল একসময়।
১৮৫০ সালে পাঞ্জাব এবং ফরসিটগঞ্জের লেফটেন্যান্ট গভর্নর ডেভিড ম্যাকলিয়ড সর্বপ্রথম এই জায়গার খোঁজ পান। তার নাম অনুসারে এই জায়গার এমন নাম হয়। তিব্বতীদের ধর্ম গুরুর চতুর্দশ দলাই লামাকে নির্বাসন দিলে তিনি এখানে এসে ওঠেন। শীতকালে এখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকে। বর্ষার সময় জায়গাটা আরো সুন্দর হয়ে ওঠে।
ম্যাকলিয়ডগঞ্জ পর্যটনস্থল হিসেবে বেশ বিখ্যাত। এখানে প্রধান আকর্ষণীয় জায়গা হল Tsuglagkhang। দোতলা এই বাড়িতেই দলাই লামা থাকতেন। এখানে তার অফিস আছে। মন্দিরের একধারে তার ফুল এবং গাছে ঘেরা কুটির রয়েছে। মন্দিরের চারদিকে রয়েছে প্রচুর গাছ। ৯ ফিট লম্বা একটি সোনালী বুদ্ধ মূর্তিও রয়েছে এখানে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের এই জায়গা, কাশ্মীর-নৈনিতাল ভুলে যাবেন
কাশ্মীরের মতো এখানেও একটি ডাল লেক রয়েছে। শান্ত ও নির্মল এই হ্রদের চারপাশে প্রচুর গাছ রয়েছে। দেখলে যেন মনে হয় এই হ্রদ সবুজ পান্না পাথর দিয়ে তৈরি হয়েছে। ডাল লেকের ধারে রয়েছে একটি শিব মন্দিরে। গাদ্দি উপজাতির মানুষেরা এই মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। সেপ্টেম্বর মাসে এখানে একটি মেলা বসে। এছাড়া আপনি এখানে ঘুরে দেখতে পারেন নামগ্যাইমা স্তূপ, ত্রিউন্ড, ওল্ডারনেসের বিখ্যাত সেন্ট জন চার্চ, ভাগসু জলপ্রপাত, তিব্বতি থিয়েটার, নেচুং মঠ, সূর্যাস্ত পয়েন্ট, ভাগসুনাগ মন্দির।
আরও পড়ুন : বৃষ্টির দিনে লং ড্রাইভে যাবেন? পার্টনারকে নিয়ে ঘুরে আসুন ৪ নদীর ধার
আরও পড়ুন : নামমাত্র খরচে ভ্রমণ! ভরা বর্ষায় ঘুরে আসুন পশ্চিম মেদিনীপুরের ৫ জায়গা
কীভাবে যাবেন?
এখানে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে কাংরা বিমানবন্দর বা রেলস্টেশনে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ধরে যাওয়া যায়। একবার এখানে পৌঁছে যাওয়ার পর আপনি পায়ে হেঁটেও ঘুরতে পারেন। এখানে খাবারের দাম খুবই কম। হোটেল খুবই সস্তায় পাওয়া যায়।