এই বর্ষাতে নদী এবং জঙ্গল অনেক বেশি মায়াবী পরিবেশ তৈরি করে। তাই যারা জুন-জুলাই মাসে কোথাও ঘোরার প্ল্যান করছেন তারা পাহাড়ের পাশাপাশি নদী এবং জঙ্গলে ঘেরা কোনও টুরিস্ট স্পট রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। বিশেষত ঝাড়গ্রামে রয়েছে এমনই একটি জায়গা যা প্রকৃতিপ্রেমীদের মুগ্ধ করবে। জেনে নিন এই জায়গাটি সম্পর্কে।
কোথায় যাবেন?
যদি আপনি প্রকৃতিপ্রেমী ও জীব বৈচিত্র প্রেমী হন তাহলে ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের কোদোপাল বায়োডাইভারসিটি পার্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। এই বায়োডাইভারসিটি পার্কের একধার দিয়ে সুবর্ণরেখা নদী বয়ে চলেছে। অন্য পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী। মাঝে এক ফালি দ্বীপের মত ছোট্ট সুন্দর এই চর।
কী কী দেখবেন?
এখানে পার্কের মধ্যে বিভিন্ন ফলের বাগান দেখতে পাবেন। দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমারোহ আপনার গোটা সপ্তাহের ক্লান্তি মুছে দেবে। সেই সঙ্গে সুবর্ণরেখা এবং ডুলুং নদীর সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে। এখানকার অন্যান্য আকর্ষণীয় জায়গার মধ্যে রয়েছে ৮ টি কটেজ। প্রত্যেকটি কটেজে এসি, বিছানা, সোফা, আলমারির সুবিধা রয়েছে।
কীভাবে যাবেন?
ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের রোহিনীর কাছে গড়ে তোলা হয়েছে এই ইকোট্যুরিজম পার্ক। ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশনে নেমে ৪৬ কিলোমিটার পথ পেরোলেই এই পার্কের দেখা পাবেন। রোহিণী বাজার থেকে ২ কিলোমিটার দূরে নদীর মধ্যে কোদোপাল বায়োডাইভারসিটি পার্ক এবং কটেজ রয়েছে। এই কটেজগুলোতে আপনি আরামসে থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন : বর্ষায় ভ্রমণের জন্য সেরা টুরিস্ট স্পট চেরাপুঞ্জি! কী কী দেখবেন? কোথায় থাকবেন?
আরও পড়ুন : কম বাজেটে বিদেশ ঘুরতে চান? ঘুরে আসুন ভারতের প্রতিবেশী এই দেশ থেকে
কীভাবে বুকিং করবেন?
কটেজ বুক করতে চাইলে অনলাইন এবং অফলাইন দুইভাবেই বুকিং করতে পারবেন। ঝাড়গ্রাম জেলার বিশেষ ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে বুকিং করা যেতে পারে। আর যদি অফলাইনে বুকিং করতে চান তাহলে ব্লক অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট সেকশনে রুম বুকিং করা যেতে পারে। এখানে ১ রাত থাকার জন্য ২ থেকে ২.৫ হাজার টাকা খরচ হয়। একদিনের মধ্যেই গোটা পার্ক ঘুরে ফেলা যাবে।