বেশিরভাগ বাঙালির কাছে পাহাড় মানেই দার্জিলিং আর গ্যাংটক। তবে এর বাইরেও কিন্তু অনেক পাহাড়ি জায়গা আছে যার নাম মানুষ জানেন না। তেমনই একটি জায়গা হল কিজম গ্রাম। এই গ্রাম দার্জিলিংয়ের একেবারে পাশে অবস্থিত। দার্জিলিং ঘুরতে গেলে আপনি এখানে কাটিয়ে আসতে পারেন ১-২দিন। এই গ্রামে বসে বসেই আপনি সিকিম দেখতে পারবেন।
হাতে যদি খুব বেশি সময় না থাকে, দার্জিলিং গিয়ে যদি আর সিকিম ঘোরার মত সুযোগ না থাকে তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারেন কিজম গ্রামে গিয়ে। এই অফবিট জায়গা আপনার মন ভাল করে দেবে। তবে এখান থেকে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘা পরিষ্কারভাবে দেখতে পাবেন না। কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘার আশেপাশের তুষারাবৃত শৃঙ্গ গুলো দেখতে পাবেন।
তবে কিজম গ্রামের সব থেকে বড় আকর্ষণ হল আপনি এখানে বসে সিকিম শহর দেখতে পাবেন। পশ্চিমবঙ্গে বসে বসেই সিকিম দেখার মজা একমাত্র কিজম ছাড়া আর কোথাও পাবেন না। কিজমে বসে বসে সিকিমের রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্পষ্ট দেখা যায়। সিকিম এবং কিজমের মাঝেই রঙ্গিত নদী বয়ে গিয়েছে।
কিজম গ্রামে রয়েছেন রেজি মনেস্ট্রি নামের একটি প্রাচীন গুম্ফা। ১৯৬০ সালে এই গুম্ফা তৈরি হয়েছিল। কাঠের তৈরি এই জায়গাটি নাকি ছিল তেন্দুক রাজার প্রাসাদ। ভেতরে প্রাকৃতিক রং দিয়ে কারুকার্য করা রয়েছে। এখানে তেন্দুক রাজার বংশধর অ্যান্ড্রুর তৈরি কার্মি ফার্ম হোম স্টে রয়েছে।
আরও পড়ুন : লেকের জলে হাউজবোটে সূর্যাস্ত দেখতে চান? ঘুরে আসুন এই ৫ জায়গা থেকে
আরও পড়ুন : সবুজ পাহাড়ের গায়ে মেঘের আনাগোনা! ঘুরে আসুন মিনি তিব্বত থেকে
আপনি যদি এখানে যেতে চান তাহলে দার্জিলিং থেকে যেতে পারেন। দার্জিলিং থেকে কিজম গ্রামের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। বিজন বাড়ি থেকে গাড়ি শেয়ার করে আপনি এখানে পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়া শিলিগুড়ি অথবা দার্জিলিং থেকেও এখানে আসা যেতে পারে। প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন। এখানে বিভিন্ন হোমস্টে রয়েছে। সেখানে খুব কম খরচে থাকা এবং খাওয়া সেরে নিতে পারবেন। এখানে থাকতে গেলে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা খরচ হয়।