বর্ষার প্রাক মরসুম শুরু হয়ে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে এখন ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ প্রাণ। এই সময় কি কোনও অজানা পাহাড়ি গ্রামে যাওয়ার প্ল্যানিং করছেন? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন শুধু আপনারই জন্য। আজকে রইল সান্দাকফুর ঠিক নিচে একটি অজানা গ্রামের সন্ধান। যেখানে নামমাত্র খরচে থাকা-খাওয়া থেকে ট্রেকিং করার সুবিধা আছে।
কোথায় যাবেন?
পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সান্দাকফুর ঠিক নিচে ছোট্ট একটা গ্রাম রয়েছে। যে গ্রামের নাম খোপিদাঁড়া। সান্দাকফুর প্রবেশদ্বার মানভঞ্জন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে গ্রামটি। পাহাড়ের কোলে শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে যদি সময় কাটাতে চান তাহলে তার জন্য এটা একটা বেশ ভালো ঠিকানা।
কী কী দেখবেন?
এখানে রয়েছে পাইন গাছের সারি। এখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। আবার এখান থেকে স্লিপিং বুদ্ধের অবয়ব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। দার্জিলিংয়ের পাহাড় ও সিকিমের পাহাড়ও দেখতে পাবেন এখান থেকে। বিশেষ করে রাতের বেলায় পাহাড়ি গ্রামের ঘরে ঘরে যে আলো জ্বলে সেগুলো জোনাকির মত দেখতে লাগে। পূর্ণিমার রাতে গোটা পাহাড় চাঁদের আলোয় ঢেকে থাকে।
এই গ্রামের কাছেই রয়েছে সিঙ্গালিলা জাতীয় উদ্যান। সেই পথ ধরে গেলে হেরিটেজ ল্যান্ড রোভার অথবা পায়ে হেঁটে সান্দাকফু ভ্রমণ হয়ে যাবে। যারা পাহাড়ে ট্রেকিং করতে পছন্দ করেন এখানে এলে তারা নিরাশ হবেন না।
আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়েই লুকিয়ে অফবিট ঝর্ণার গ্রাম! না গেলে পস্তাবেন
আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে খুলে গেল নতুন ট্রেকিং রুট! অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে ছুটছেন ট্রেকিংপ্রেমীরা
কীভাবে যাবেন?
দার্জিলিং থেকে রিজার্ভ গাড়ি ভাড়া করে এখানে আসা যায়। আবার শেয়ার গাড়িতেও আসা যেতে পারে। এখানে থাকার জন্য বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে। যেখানে মাত্র ১৫০০ টাকা মাথাপিছু ভাড়া নেওয়া হয় থাকা এবং খাওয়ার জন্য। খাবারের মধ্যে গ্রামে অর্গানিকভাবে চাষ করা শাকসবজি দিয়ে তৈরি খাবার দেওয়া হয় তিন বেলা।