ভরা বর্ষায় পাহাড় এবং জঙ্গলের রূপ যারা দেখেছেন তারাই কেবল এর মর্ম বুঝবেন। যদি আপনিও প্রকৃতির সান্নিধ্যে কয়েকটা দিন কাটাতে চান তাহলে ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রাম থেকে। পশ্চিমবঙ্গের এই জেলায় কয়েকটা দিন কাটাতে পারলে বেশ ভালই লাগবে। পাহাড় এবং জঙ্গল, ঝর্ণা সবই দেখতে পাবেন এখানে। কীভাবে যাবেন, কী কী দেখবেন? জেনে নিন সবকিছু।
জঙ্গলমহলের চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ জঙ্গল দেখতে পাবেন। এরই মধ্যে কোথাও নদী, কোথাও ছোট ছোট টিলা, কোথাও পাহাড় রয়েছে। আবার কোথাও রয়েছে হ্রদ। কোথাও আবার পাখিরালয়, যেখানে প্রচুর পাখি দেখতে পাবেন। আর এখানকার আদিবাসীদের দেখতে পাবেন। তাদের সংস্কৃতি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবেন। তাদের হাতে তৈরি বিভিন্ন খাবার খেতে পারবেন।
জঙ্গলমহলে বেশ কিছু ছোট ছোট হোম স্টে রয়েছে। যেখানে রাতে থাকা যায়। এখানে ঢাঙিকুসুম, ঘাগরা ওয়াটারফলস, লাল জল গুহা, তারা ফেনী ড্যাম ইত্যাদি বেশ কিছু জায়গায় ঘুরতে পারবেন। এছাড়া সাবিত্রী মন্দির, কৃষ গার্ডেন, কনক দুর্গা মন্দির দেখতে পাবেন। সবমিলিয়ে এক থেকে দুই দিনের মধ্যেই ঘুরে ফেলা যাবে জঙ্গলমহল।
জঙ্গলমহলে বেলপাহাড়ির কিছু জায়গাও দেখতে পাবেন। এখানে রিসোর্ট আছে, হোমস্টে আছে, আছে সবুজে ঘেরা জঙ্গল। রয়েছে ছোট জলপ্রপাত। জঙ্গলমহল কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে। বাংলায় যে কোনও প্রান্ত থেকে এখানে আসতে পারবেন। সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভিড় থাকে।
আরও পড়ুন : সেলফি জোন থেকে আধুনিক টয়ট্রেন! দার্জিলিংয়ে চালু হল একাধিক মজাদার পরিষেবা
আরও পড়ুন : পাহাড়, ঝর্ণা, জঙ্গল সব এক জায়গাতেই! ভরা বর্ষায় বেলপাহাড়ি গেলে ময়ূরের মত নাচবে মন
বেলপাহাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তারাফেনী ড্যাম রয়েছে। এছাড়া রয়েছে খান্দারানী লেক। ৩৫০ বছরের পুরনো সাবিত্রী মন্দির রয়েছে। ডুলুং নদীর পাড়ে রয়েছে কনক দুর্গা মন্দির। মোটকথা এখানে দেখার জিনিসের অভাব নেই। সপ্তাহ শেষে দুদিনের ছুটিতেও ঘুরে যেতে পারবেন জঙ্গলমহল। কলকাতা থেকে জঙ্গলমহলে আসার জন্য একাধিক ট্রেন পেয়ে যাবেন।।