শুধু শীত কিংবা গ্রীষ্ম নয়, বছরের আলাদা আলাদা ঋতু বিশেষে রূপ বদলায় দার্জিলিংয়ের। শৈল শহর দার্জিলিং বর্ষায় মায়াবী সাজে সেজে ওঠে। দার্জিলিংয়ের পাহাড় ভরে যায় সবুজে। পাহাড়ি রাস্তায় জল দাঁড়ায় না। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে নির্জন পাহাড়ে ঘোরার মজাই আলাদা। আপনি কি দার্জিলিংয়ে বর্ষার প্রকৃত রূপ দেখতে চান? তাহলে আর দেরি না করে বেড়ানোর প্ল্যান বানিয়ে নিন জোড়া হ্রদের গ্রামে। কোথায় জানেন?
কোথায় যাবেন?
দার্জিলিং মানেই শুধু টাইগার হিল কিংবা কাঞ্চনজঙ্ঘা নয়। যদি প্রকৃতির আসল রূপ দেখতে চান তাহলে বর্ষার সময় যেতে হবে জোড়পোখরি গ্রামে। নেপালি ভাষায় পোখরি শব্দের অর্থ হল হ্রদ। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরে লেপচা জন বসতির কাছে রয়েছে ছোট্ট এই গ্রাম। অফ বিট লোকেশন হওয়ার কারণে এখনও খুব বেশি মানুষ এই গ্রাম সম্পর্কে জানেন না।
কী কী দেখবেন?
এই গ্রামের প্রধান আকর্ষণ হল এখানকার যমজ দুটি হ্রদ। বর্ষার সময় পাহাড়ি নদী এবং হ্রদের জল উপচে পড়ে। সমতল থেকে প্রায় ৭ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। এখান থেকে আপনি চাইলে দার্জিলিংয়ের আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরতে পারবেন।
শিলিগুড়ি থেকে জোড়পোখরি গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটা খুবই সুন্দর। ঘন সবুজ চা বাগানের মধ্যে দিয়ে দুধিয়া এবং মিরিক হয়ে এই গ্রামে পৌঁছাতে হয়। আসা-যাওয়ার পথেও তাই দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা পাবেন। ভারত নেপাল সীমান্ত থেকে এই গ্রাম মাত্র ২০ কিলোমিটার। চাইলে একটা গাড়ি ভাড়া করে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন।
আরও পড়ুন : খোদ কলকাতার বুকে স্নো ফল! দার্জিলিং-গ্যাংটক ভুলে সবাই ছুটছেন কলকাতার এই জায়গায়
আরও পড়ুন : সুন্দরবন নয়, উইকেন্ডে ঘুরে আসুন বাংলার মিনি সুন্দরবন থেকে, মন ভরে যাবে
কীভাবে যাবেন?
যদি ট্রেনে যেতে চান তাহলে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতে হবে প্রথমে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে সোজা চলে যান জোড়পোখরি গ্রামে। যদি বিমান পথে যেতে চান তাহলে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হয় বাকি রাস্তাটা।