এই বাংলাতেই এমন অসংখ্য জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে যেন মনে হয় বিদেশে এসে পড়েছি। একেবারে রূপকথার মত সাজানো এরকমই একটি ছোট্ট জায়গার নাম গনগনি। সবুজে ঘেরা লাল পাহাড়, মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে নদী। দেখলে যেন মনে হয় হাতে আঁকা কোনও ছবি। জানুন এই অজানা মাটির পাহাড়ের দেশের সম্পর্কে।
কোথায় যাবেন?
গনগনি যাওয়ার জন্য আপনাকে আগে পৌঁছাতে হবে মেদিনীপুর জেলায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতাতে অবস্থিত এই ছোট্ট সুন্দর লোকেশন। শান্ত প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে। চারপাশে অনেক সবুজ গাছ রয়েছে। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে শীলাবতী নদী। সড়ক পথেও পৌঁছানো যায়। রেলপথে এলে গড়বেতা স্টেশনে নেমে পৌঁছাতে হবে।
কী কী দেখবেন?
এই জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই সুন্দর যে গেলে আর ফিরতে মন চাইবে না। এখানে কটেজে থেকে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখার মজাটাই আলাদা। প্রকৃতির নিজের হাতে তৈরি হয়েছে বাংলার এই গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। সকাল থেকে সন্ধ্যা এখানকার পরিবেশ মুগ্ধ তো করবেই, তবে রাতে এখানকার পরিবেশ আরও মায়াবী হয়ে ওঠে। কটেজে থেকে তা দেখা সৌভাগ্যের ব্যাপার।
এই জায়গার মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী। শিলাবতী নদীর প্রবাহ, স্রোত এবং দিক পরিবর্তনের কারণে এখানে ভূমিক্ষয় হয়েছে। যে কারণে সৃষ্টি হয়েছে বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। কোথাও রয়েছে উঁচু উঁচু টিলা। আবার কোথাও রয়েছে গর্ত। বাঁধানো সিড়ি বেয়ে এই গর্তের মধ্যে পৌঁছানো যায়।
আর এখানে রয়েছে লাল ধুলো মাটি দিয়ে তৈরি পাহাড়। এরকম লাল পাহাড় এবং তার চারপাশে সবুজ গাছপালা দেখলে চোখ সরবে না। প্রায় সব মরসুমেই এখানে আসতে পারবেন। তবে এই জায়গা সব থেকে ভালো করে উপভোগ করতে পারবেন শীতের সময়।
আরও পড়ুন : এক দু-দিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন বীরভূমের এই জঙ্গল, মন ভালো হয়ে যাবে কথা দিলাম
আরও পড়ুন : ভুলে যান দিঘা-মন্দারমনি, মৎসপ্রেমী বাঙালির সেরা ঠিকানা এখন যমুনাসুল সমুদ্র সৈকত
কোথায় থাকবেন?
এখানে আপনি এসি, নন এসি কটেজ এবং ডরমেটরি পাবেন থাকার জন্য। দুটি ডরমেটরের মধ্যে একটিতে ১০ টি বেড ও অন্যটিতে ৬ টি বেড রয়েছে। রাতে থাকার জন্য ৫০০ টাকা ভাড়া লাগে। কটেজে এসি রুমের জন্য ৩,৫০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। নন এসি রুমের জন্য ৩০০০ টাকা ভাড়া দিতে হবে।