বর্ষায় কারও পছন্দ পাহাড়, কারও সমুদ্র, কারও আবার জঙ্গল। কিন্তু পাহাড়, জঙ্গল কিংবা সমুদ্রে এই সময় গেলে বিপদের মুখে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই যদি আপনি বর্ষায় কোনো নিরাপদ স্থানে ভ্রমণে যেতে চান তাহলে চলে যান বাংলার পড়শি রাজ্য বিহারে। ইতিহাস এবং সংস্কৃতির মিশেল রয়েছে এখানে। কোথায় যাবেন, কী কী দেখবেন? জেনে নিন এই প্রতিবেদন থেকে।
বিহারে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে আপনি ইতিহাসের সঙ্গে পুরনো সংস্কৃতি খুঁজে পাবেন। এখানে রয়েছে বুদ্ধগয়া। যেখানে গৌতম বুদ্ধ একটি অশ্বথ্থ গাছের নিচে বসে বোধি লাভ করেছিলেন। ফল্গু নদীর ধারে অবস্থিত এই বুদ্ধগয়া শহর আপনি ঘুরে দেখতে পারেন। সুন্দর সাজানো এই শহরে অনেক জায়গা রয়েছে দেখার।
এখানে আপনি মহাবোধি মন্দির, বোধি বৃক্ষ থেকে শুরু করে প্রাচীন মঠ এবং মন্দির, চিনা মন্দির, থাই মন্দির মঠ, রাজকীয় ভুটান মঠ, অন্যান্য মঠ এবং প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর দেখতে পাবেন। বুদ্ধগয়া মঠের মধ্যে গাছের ছায়ায় বসলে মানসিক শান্তি পাবেন।
বুদ্ধগয়া ছাড়াও যেতে পারেন রাজগীর। এখানে দেখতে পাবেন পাহাড়, প্রাচীন মঠ, প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ, উষ্ণ প্রস্রবন। পাহাড়ের উপর প্যাগোডা, বিশ্বশান্তি স্তুপ, গ্লাস ব্রিজ দেখতে পাবেন। এছাড়া রোপওয়েতে করে পাহাড়েও উঠতে পারবেন।
আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে লুকিয়ে আছে এক অলৌকিক রহস্য! জানলে চমকে যাবেন
আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ মন্দির ছাড়াও দেখতে পারেন উড়িষ্যার এই ৫ দর্শনীয় স্থান
এছাড়া যেতে পারেন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে চিনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এসেছিলেন। এখানে এলে প্রাচীন ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার আদব কায়দা সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর যেতে পারেন বৈশালী শহরে। একসময় লিচ্ছবি শাসকদের রাজধানী ছিল এটি। এখানে দেখবেন রিলিক স্তুপ, কুটাগরশালা বিহার, করোনেশন ট্যাঙ্ক, বিশ্ব শান্তি শিবালয়, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া মিউজিয়াম, বাবন পোখর মন্দির, কুন্দলপুর, রাজা বিশাল দুর্গ, চৌমুখী মহাদেব।