বর্ষা উপভোগ করতে ঘুরে আসুন বাঁকুড়ার বড়দি পাহাড়, দু’দিন কাটালে শান্ত হয়ে যাবে মন

Published on:

Travel Visit To Bardi Pahar In Bankura

বর্ষার এই মরসুমে কোনও নির্জন পাহাড়ি পরিবেশে কয়েকটা দিন প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটাতে চান? তাহলে ঘুরে আসুন বাঁকুড়ার বড়দি পাহাড় থেকে। ঘন সবুজে ঘেরা পাহাড়ের নির্জন পরিবেশ মন শান্ত করবে। যখন ঝমঝম করে বৃষ্টি নামে পাহাড়ের গায়ে ঠিক তার পরপরই পাহাড়ের সৌন্দর্য আরও খোলতাই হয়। তাই আর দেরি কেন? ঝটপট জেনে নিন বাঁকুড়ার বড়দি পাহাড় সম্পর্কে।

আসলে বাঁকুড়ার বড়দি পাহাড়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইতিহাসের একটা গল্প। রায়পুরের জমিদার দুর্জন সিংহ ইংরেজদের থেকে রক্ষা পেতে এই জায়গার গ্রামে এসে লুকিয়েছিলেন। এখানে তার বড়দি থাকতেন। বড়দির কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন দুর্জন সিংহ। তাই সেই গ্রামের নাম হয়ে যায় বড়দি গ্রাম। আর এখানে যে পাহাড় রয়েছে তার নাম হয়ে যায় বড়দি পাহাড়।

Bardi Pahar

বর্ষার সময় বড়দি পাহাড় ঘন সবুজে ঢেকে যায়। সেই সঙ্গে যখন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে কংসাবতী নদীর জল কুল ছাপিয়ে প্রবাহিত হয় তখন তা দেখার মজাই আলাদা। এখানে হরেক রকমের পাখি রয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন রংয়ের প্রজাপতির দেখা মিলবে। সেই সঙ্গে শাল-মহুয়া গাছের জঙ্গল রয়েছে। রয়েছে পারুলের মত বেশ কিছু বুনো ফুলের গাছ।

গরম, শীত, বসন্তকালে কংসাবতীতে হাঁটু সমান জল থাকে। কিন্তু বর্ষা এলেই জল বেড়ে যায়। পাহাড়ি জঙ্গলের পথ অতিক্রম করে পাবেন একটি ভিউ পয়েন্ট। সেখান থেকে নদীর বাঁক দেখা যায়। এই জায়গাতে শিবের থান বলে একটি মন্দির রয়েছে। চারিদিকে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে হেঁটে এই শিব মন্দিরে পৌঁছাতে হয়।

আরও পড়ুন : বর্ষাকালে বেড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের সেরা ১০ টি জায়গা

Bardi Pahar

আরও পড়ুন : সবুজে ঘেরা জঙ্গল, নিরিবিলি পরিবেশ, পাখির ডাক! বর্ষায় ঘুরে আসুন মুনথুম ভ্যালি

হাতে দুদিন ছুটি পেলে বা উইকেন্ডে সময় কাটানোর জন্য বাঁকুড়ার বড়দি পাহাড়ে আসতে পারেন। এখানে থাকার জন্য রিসোর্ট পাবেন। কলকাতা থেকে গাড়িতে ৫ ঘন্টার পথ পার হতে হবে এখানে আসার জন্য। বর্ষার সময় নিরিবিলিতে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে হলে কাছাকাছির মধ্যে এই জায়গা ঘুরে নিতেই পারেন।