যাত্রী সুবিধার্থে রোজ নিত্য নতুন ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারতীয় রেল। যাত্রীরা যাতে আরও আরামে যাতায়াত করতে পারেন তার জন্য বিশেষ বিশেষ উন্নত মানের ব্যবস্থা থাকছে ট্রেনে। যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়েও রেলের যথেষ্ট দায়িত্ব থাকে। যাত্রীদের জন্য রেলের তরফ থেকে একটি ইনসিওরেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে নামমাত্র মূল্যে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সহায়তা পাওয়া যায়। কোন ক্ষেত্রে কারা পাবেন এই সুযোগ? জেনে নিন।
রেলের ১০ লক্ষ টাকার বীমা সুবিধা কারা পাবেন?
রেলের এই যে ১০ লক্ষ টাকার বীমা পলিসি রয়েছে তা কেবল দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য হয়। দূরপাল্লার প্রত্যেক যাত্রী এই সুবিধা পেতে পারেন। তার জন্য তাদের খরচ করতে হয় মাত্র ৩৫ থেকে ৪৫ পয়সা। যখন তারা অনলাইনে টিকিট বুক করবেন তখনই এই টাকা বীমা বাবদ কেটে নেওয়া হবে। যারা টিকিট কাউন্টারে অফলাইনে টিকিট কাটেন তারা কিন্তু এই পরিষেবা পাবেন না।
যে সকল যাত্রী সাধারণ কামরাতে ভ্রমণ করেন তারা এই বীমা পলিসির আওতায় পড়বেন না। যারা দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত কামরার টিকিট অনলাইনে বুক করছেন তারা ৩৫ থেকে ৪৫ পয়সার বিনিময়ে ১০ লাখ টাকার ভ্রমণ বীমা পেতে পারেন। যদিও সব রুটের যাত্রীরাও আবার এই সুবিধা পান না।
আরও পড়ুন : প্ল্যাটফর্ম টিকিট কেটে কতক্ষণ স্টেশন চত্বরে থাকা যায়? ৯০% মানুষ জানেন না
কখন রেলের তরফ থেকে ১০ লক্ষ টাকার বীমা পাওয়া যায়?
যদি কখনও দুর্ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে যাত্রীদের সহায়তা বাবদ বীমা পরিষেবা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা, সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা এবং ১০ লক্ষ টাকা হিসেবে বীমা দেওয়া হয়। যারা ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাদের চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকার কভারেজ দেওয়া হয়। যারা চিরস্থায়ীভাবে শারীরিক দিক থেকে অক্ষম হয়ে পড়েছেন তারা সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার কভারেজ পাবেন। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে সেই ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : ট্রেনের কামরায় হলুদ, সাদা, লাল রঙ থাকে কেন? কোন রঙের মানে কী?
কীভাবে আবেদন করবেন?
রেলের অনলাইন টিকিট বুকিং অ্যাপ্লিকেশন আইআরসিটিসি অ্যাপ কিংবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে টিকিট বুকিং করার সময় বীমার অপশনটি পেয়ে যাবেন। তখন যদি আপনি এই অপশনটি বেছে নেন তাহলে টিকিটের দামের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩৫ পয়সা থেকে ৪৫ পয়সা চার্জ করা হবে।