বাঙালি পাহাড়প্রেমীদের মধ্যে বেশিরভাগেরই দার্জিলিং-গ্যাংটক ঘোরা হয়ে গিয়েছে প্রায়। কেউ কেউ তো আবার বারবার এক জায়গায় যেতে যেতে ক্লান্ত। দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটক শুধু নয়, উত্তরবঙ্গে কিন্তু দেখা ও ঘোরার মত আরও অনেক ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর গ্রাম রয়েছে। তেমনই একটি গ্রাম হল কালিম্পংয়ের সর্বশেষ গ্রাম টোডে-টাংটা। নাম শুনেছেন কি এই গ্রামের?
টোডে-টাংটা, পাহাড়, নদী এবং জঙ্গল দিয়ে ঘেরা এই গ্রামের নাম বেশিরভাগ মানুষই জানেন না। তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটকের তুলনায় কোনও অংশে কম যায় না এই জায়গা। এখান থেকে হিমালয় পর্বতের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। এই জায়গাটা ভারত এবং ভুটানের একেবারে সীমান্তে অবস্থিত। দুই দেশের সংস্কৃতি এখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে।
কী কী দেখবেন?
নেওড়া ভ্যালি পার্কে প্রবেশের পথে এই গ্রাম পড়বে। কাজেই এখানে জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। এই গ্রামে অনেকগুলো পাহাড়ি নদী আছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবাইখোলা, যে নদীর জলকে এখানকার মানুষেরা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করেন। চুমংখোলা এবং সীমানা খোলা নদীর শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ মুগ্ধ করবেই।
এখানে ঝালং,তুংটা ওয়াটার ফলস,দাওয়াই খোলা হট ওয়াটার স্প্রিং, মনেস্ট্রি, বিন্দু,সুনতালি খোলা, ল্যাম্পোখরী লেক দেখতে পাবেন। আবার বিভিন্ন মেডিসিনাল প্লান্ট ও বাগান রয়েছে এখানে।
কত খরচ পড়বে?
প্রত্যেক সপ্তাহের রবিবার এখানে হাট বসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে বানানো রংবেরঙের জিনিস পাবেন এখানে। থাকা এবং খাওয়ার জন্য হোম স্টের ব্যবস্থা আছে। যেখানে খুব কম দামে উন্নত মানের খাবার পাবেন। মাথাপিছু প্রত্যেক জনের তিন বেলা খাবার নিয়ে এখানে থাকা এবং খাওয়ার খরচ প্রতিদিন পড়বে ১৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন : এক ধাক্কায় কমে গেল সিকিম ঘোরার খরচ, জলের দরে ঘুরে আসুন গ্যাংটক
আরও পড়ুন : এই চাঁদিফাটা গরমে স্নো ফল দেখতে চান, ঘুরে আসুন ভারতের এই ৬ জায়গা থেকে
কীভাবে যাবেন?
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে এখানে পৌঁছাতে পারেন। ১২০ কিলোমিটারের পথ গাড়িতে অতিক্রম করতে সময় লাগবে ৪ ঘন্টা। নিউ মাল জংশন থেকে এখানকার দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। এই পথ অতিক্রম করতে সময় লাগে ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট।