বর্ষা এসে গিয়েছে। এই সময়টা যারা বাড়িতে বসে থাকতে চাইছেন না তারা প্রকৃতিকে উপভোগ করতে বেরিয়ে পড়ুন কোনও পাহাড়ির স্পটে। কোথায় যাবেন? তারই সুলুক সন্ধান রইল আজকের এই প্রতিবেদনে। আপনি কি পাহাড়ের পাশাপাশি ট্রেকিংও পছন্দ করেন? জানতে চান ভারতের সেরা ৩ ট্রেকিং সাইটের নাম? তাহলে দেখে নিন এই তালিকা।
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স
উত্তরাখণ্ডের চামোলীতে অবস্থিত ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স বর্ষায় ট্রেকিংয়ের জন্য দুর্দান্ত একটি স্পট। এখানে অনেক বন্য পাহাড়ি ফুলের দেখা মিলবে। জুন মাস থেকে এখানে ট্রেকিং শুরু হয়। অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। হিমালয়ের কোলে পাহাড়ি ফুলে ভরা পথে ট্রেকিং করতে দারুণ লাগবে। এখানে এশিয়ার কালো ভল্লুক, স্নো লেপার্ডসহ নানা রকম বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে।
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলেছে পুষ্পবতী নদী। তার পাশের পথ দিয়ে হেমকুন্ড সাহিব গুরুদোয়ারা যাওয়া যায়। এখানে রয়েছে সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম। ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে পায়ে হেঁটে পথ চলার মজাটাই আলাদা। উত্তরাখণ্ডের যোশীমঠ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গোবিন্দঘাট। এখান থেকেই ট্রেকিং শুরু হয়। ৪৭ কিলোমিটারের পথ অতিক্রম করতে ৬ দিন সময় লাগে।
গ্রেট লেকস
এই জায়গা রয়েছে কাশ্মীরে। এখানে সবুজ ঘাসে ঢাকা দীর্ঘ উপত্যকা রয়েছে। তার মধ্যে হরেক রকম রঙিন ফুল ফুটে থাকে। এখানে অনেকগুলো হ্রদ রয়েছে। গ্রেট লেকের সৌন্দর্য না দেখলে চরম মিস হবে। শ্রীনগর থেকে ৭৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে পাহাড়ের কোলে রয়েছে এই জলাশয়। এখানে ট্রেকিং করলে আশেপাশের পরিবেশকে স্বর্গ মনে হবে।
সোনমার্গ থেকে ট্রেকিং শুরু হয়। ৭ দিনের ট্রেকে বিশনসর হ্রদ, গাডসর হ্রদ, সৎসর হ্রদ, গঙ্গাওল হ্রদের উপর দিয়ে যেতে পারবেন। জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস হল এখানে ট্রেকিং করার জন্য সবথেকে উপযুক্ত সময়।
আরও পড়ুন : পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে যাচ্ছেন? এই বিষয়গুলো না জানলেই বিপদে পড়বেন
আরও পড়ুন : জম্বু-কাশ্মীরের বিশ্ব বিখ্যাত ১০ মন্দির, যেখানে সারা বছরই লেগে থাকে তীর্থযাত্রীদের ভিড়
হাম্পতা পাস
লাহৌল ও হিমাচল প্রদেশের কল্লু উপত্যকার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত এই জায়গা। এখানে সরু আঁকাবাঁকা পথ ধরে ঘন্টার পর ঘন্টা হাঁটলেও ক্লান্ত হবেন না। মানালি থেকে ৫ দিনের ট্রেকিং শুরু হয় এই পথে। হাম্পতা পাস থেকে চন্দ্রতাল লেক পর্যন্ত যেতে পারবেন। দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রেকিং করার জন্য আদর্শ সময়।