তারাপীঠ যাবেন? কোথায় থাকবেন? কী কী দেখবেন? জেনে নিন এক ক্লিকে

Published on:

Tarapith Travel Sites And Tour Guide

বীরভূমের তারাপীঠ মন্দির বাংলার প্রসিদ্ধ মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতম। সাধক বামাক্ষ্যাপা এখানে তন্ত্র সাধনা করতেন। একে বামাক্ষ্যাপার মন্দিরও বলেন অনেকে। তারাপীঠ মন্দির এখন আর শুধুই মন্দির নয়। বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন স্থল। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে প্রত্যেক দিন কয়েক হাজার ভক্ত সমাগম হয় সেখানে তাদের থাকা-খাওয়া, আশেপাশের জায়গা ঘোরার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থাও হয়েছে। এখন বাংলার যেকোনও প্রান্ত থেকে এই মন্দিরে আসা সহজ হয়ে উঠেছে। এমনকি থাকা-খাওয়ার জন্য সস্তায় নানা সুবিধাও পাবেন।

তারাপীঠ মন্দিরে কীভাবে পৌঁছবেন?

শিয়ালদা, হাওড়া এবং কলকাতা স্টেশন থেকে ট্রেনে করে রামপুরহাট স্টেশনে আসতে হয়। রামপুরহাট স্টেশন থেকে তারাপীঠের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। অনেকে আবার নিজস্ব গাড়িতেও তারাপীঠ আসেন। ট্রেনে করে রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছলে ৪০ টাকায় তারাপীঠে পৌঁছে যাবেন।

তারাপীঠে কোথায় থাকবেন?

তারাপীঠে ছোট-বড় অনেক হোটেল গড়ে উঠেছে। এখানে প্রায় কয়েক হাজার সরকারি এবং বেসরকারি হোটেল রয়েছে। পর্যটকরা তাদের সাধ্যমত হোটেল কিংবা আশ্রমে থাকতে পারেন। তারাপীঠের মধ্যেই আছে ভারত সেবাশ্রম। খুব কম খরচে এখানে থাকা ও খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।

তারাপীঠে গেলে কী কী দেখবেন?

তারাপীঠের তারা মায়ের মন্দির তো জগৎ বিখ্যাত। মন্দির থেকে কিছু দূরেই রয়েছে মহাশ্মশান। তারাপীঠের মন্দির থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে বীরচন্দ্রপুরের ইসকন মন্দির রয়েছে। এছাড়া ঘোষ গ্রামে আদি লক্ষ্মী বাড়িও রয়েছে। তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট যাওয়ার পথে আটলা গ্রামে সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্ম ভিটে রয়েছে।

আরও পড়ুন : এক টিকিটে ঘুরে নিন গোটা ভারত, যাত্রীদের সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে ভারতীয় রেল

এছাড়াও তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট স্টেশনের পথে লোকনাথ রিসোর্টের পাশে লক্ষ্মী নারায়ণের নতুন একটি মন্দির স্থাপিত হয়েছে। তারাপীঠ ভ্রমণের দিনেই আপনি এই মন্দিরগুলো দর্শন করে ফেলতে পারবেন। পরের দিন তারাপীঠের আশেপাশের ৫ টি সতীপীঠ কঙ্কালীতলা, বক্রেশ্বর, নলাটেশ্বরী, ফুল্লরা এবং নন্দীকেশ্বরীতে ঘুরে আসতে পারেন। তারাপীঠ থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরেই বোলপুর শান্তিনিকেতন।

আরও পড়ুন : পাহাড়ে ঘুরতে গেলে কোথায় থাকবেন? কোথায় খাবেন? দেখে নিন ৩০০ হোমস্টের তালিকা

এছাড়াও এখানে এলে আপনি কাঁচের মন্দির, তালধ্বজ, তিন পাহাড় এবং আম্রকুঞ্জ, দেহলি, ঘন্টাতলা, বকুলবিথী, উত্তরায়ণ প্রাঙ্গণ ইত্যাদি জায়গাতে ঘুরতে পারেন। মোটামুটি ৩/৪ দিনের জন্য হাতে সময় নিয়ে ঘোরার প্ল্যান বানালে গোটা বীরভূম ভালোভাবে ঘোরা হয়ে যাবে।