Free Food And Living Tourist Spot : কোথাও বেড়াতে গেলে বেড়ানোর আনন্দের পাশাপাশি বাজেটের চিন্তা সবার আগে মনের মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ঘোরাঘুরির থেকেও বেশি টাকা খরচ হয়ে যায় থাকা আর খাওয়ার পেছনে। তবে জানেন কি আপনার আশেপাশেই এমন বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে অর্ধেক খরচে ঘুরতে পারবেন আপনি। এই জায়গাগুলোতে থাকা এবং খাওয়া সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিলবে। এক নজরে দেখুন এই তালিকাতে কোন কোন জায়গা রয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ
মণিকরণ সাহেব গুরুদুয়ারা
Gurudwara Sahib Manikaran : শীতকালে হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলায় অবস্থিত এই তীর্থস্থানে অনেক পর্যটকের আগমন হয়। এখানে থাকা এবং খাওয়া মিলবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এমনকি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও আছে। এখানে একসঙ্গে প্রায় ৪ হাজার লোক বসবাস করতে পারেন। এমন কি কেউ আমৃত্যু এখানে থাকতে পারেন।
চেইলের গুরুদুয়ারা সাহিব
Gurudwara Sahib Chail : মণিকরণ সাহেবের পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশেই আরও একটি গুরুদুয়ারা রয়েছে যার নাম চেইলের গুরুদুয়ারা সাহিব। পর্যটকরা এখানে ভ্রমণ করতে এলে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা পাবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
নাইংমাপা মঠ
Nyingmapa Monastery : হিমাচল প্রদেশের রেওয়ালসার হ্রদের কাছে অবস্থিত এই সুন্দর মঠটি পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এখানে একদিন থাকার জন্য ২০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হয়।
গুজরাট
মোকাম সিং জির গুরুদুয়ারা
Mokam Singh Ji Gurudwara : গুজরাটের দ্বারকা শহরে অবস্থিত এই গুরুদুয়ারাতে অনেকেই ঘুরতে আসেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে থাকা এবং দুই বেলা খাবারের সুবিধা রয়েছে এখানে।
উত্তরাখণ্ড
গোবিন্দঘাট গুরুদুয়ারা
Gurdwara Gobind Ghat : গোবিন্দঘাট গুরুদুয়ারা উত্তরাখন্ডের চামোলি জেলাতে অবস্থিত। অলকানন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এই তীর্থস্থানে বিনামূল্যে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়।
গীতা ভবন
Gita Bhawan : ঋষিকেশে গঙ্গা নদীর তীরে গীতা ভবনও পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা দিয়েছে। এখানে প্রায় ১ হাজারটি ঘর রয়েছে। যেখানে বিনামূল্যে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। সেই সঙ্গে দুবেলা খাবার পাবেন বিনামূল্যে। এখানে ধ্যান, সৎসঙ্গ এবং যোগ সাধনা হয়।
ভারত হেরিটেজ সার্ভিস
Bharat Heritage Services : ঋষিকেশে অবস্থিত ভারত হেরিটেজ সার্ভিসে যত দিন খুশি বিনামূল্যে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা পাবেন। এখানে যোগাসন, মেডিটেশন কোর্স, ডিটক্স প্রোগ্রাম সহ আরও অনেক রকম কাজ হয়। এই আশ্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করা যেতে পারে।
পরমার্থ নিকেতন
Parmarth Niketan Ashram : ঋষিকেশের পরমার্থ নিকেতনে স্বেচ্ছাসেবকরা আশ্রমে বিনামূল্যে খাওয়া এবং থাকার সুযোগ পাবেন। এই আশ্রমে প্রত্যেক বছর আন্তর্জাতিক যোগ উৎসব পালন করা হয়।
শিবপ্রিয়া যোগ আশ্রম
Shiva Yoga Ashram Rishikesh : উত্তরাখণ্ডের এই যোগ আশ্রমে থাকা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এখানে ছবি আঁকা, বাগান, ওয়েব ডিজাইনিং, রান্না করা সহ বিভিন্ন কাজে অংশ নিতে পারবেন।
শ্রী যোগাশ্রম
Sri Yoga Ashram Rishikesh : ঋষিকেশের লক্ষ্মণঝুলায় অবস্থিত শ্রী যোগাশ্রমেও যোগ অনুশীলন করা যায়। এই জায়গাটি মূলত বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধাদের থাকার জন্য। তবে যুবক-যুবতী বা সিঙ্গেল মহিলারা এখানে থাকতে পারবেন। এই আশ্রমে থাকা-খাওয়া একদম বিনামূল্যে নয়, তবে নামমাত্র বলা যেতে পারে।
উত্তরপ্রদেশ
সারনাথে তিব্বতি বৌদ্ধ মঠ
Tibetan Temple at Sarnath : উত্তরপ্রদেশের সারনাথে তিব্বতি বৌদ্ধ মঠ রয়েছে। মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে এখানে রাত কাটাতে পারবেন। এখানে ভগবান বুদ্ধের শাক্যমুনি অবতারের মূর্তি রয়েছে। লাধন চোট্রুল মোনালাম চেনমো ট্রাস্টের তরফ থেকে এই বৌদ্ধ মঠের রক্ষণাবেক্ষণ হয়।
কোয়েম্বাটুর
ইশা ফাউন্ডেশন
Isha Foundation : কোয়েম্বাটুর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইশা ফাউন্ডেশন। সদ্ গুরুর ধর্মীয় কেন্দ্র এটা। এখানে আদি যোগী শিবের একটা বড় এবং সুন্দর মূর্তি আছে। যোগ ব্যায়ামের ব্যবস্থা আছে। পরিবেশের উন্নয়ন এবং সামাজিক কাজের জন্য অনেক কাজ করে থাকে এই সংস্থা। এখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাওয়া যায়। বিনামূল্যে থাকা এবং খাওয়ার সুযোগ মিলবে।
কেরালা
আনন্দ আশ্রম
Anandashram : কেরলে পাহাড় এবং ঘন সবুজ প্রকৃতির মাঝে যেন এক টুকরো স্বর্গ আনন্দ আশ্রম। এখানে থাকার জন্য পর্যটকদের একটা টাকাও খরচ করতে হয় না। সেইসঙ্গে দিনে তিন বেলা খাবার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : বাংলার সেরা ১০টি হিল স্টেশন, গরমে বেড়ানোর জন্য একেবারে আদর্শ
পশ্চিমবঙ্গ
তারাপীঠ
Tarapith : বীরভূম জেলার রামপুরহাটের কাছে অবস্থিত তারাপীঠেও নামমাত্র মূল্যে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা দেওয়া হয়। মাত্র ৫০ টাকা দিলে আপনি এখানে থাকতে পারবেন রাতে।
মায়াপুরের ইসকন মন্দির
Mayapur Iscon Temple : পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলাতে মায়াপুরে নামমাত্র মূল্যে ইসকন মন্দিরে থাকা এবং খাওয়ার সুবিধা পাবেন। মাত্র ৫০ থেকে ৬০ টাকার বিনিময়ে দুবেলা ভরপেট খাওয়ার সুবিধা পাবেন। বাচ্চাদের জন্য অর্ধেক খরচ হবে।
আরও পড়ুন : ভারতের সবথেকে বিপদজনক জায়গা, যেখানে ভারতীয়দেরই প্রবেশ নিষিদ্ধ
বেলুড় মঠ
Belur Moth : হাওড়ার বেলুড় মঠে আপনার সামর্থ্য অনুসারে যতটুকু দেবেন তাতেই খাওয়ার সুবিধা পাবেন। বেলুড়ের বিশাল হলে ২০০০ মানুষ একবারে বসে খেতে পারবেন। খাবার হিসেবে খিচুড়ি, সবজি, চাটনি, পায়েস দেওয়া হয়।