যে হারে প্রতিনিয়ত গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে সাগরের জলস্তর বাড়ছে তাতে আগামী দিনে বিশ্বের বেশ কিছু দেশ সমুদ্রের তলায় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার প্রতিনিয়ত পরিবর্তনের কারণে আগামী ১০০ বছরের মধ্যে সমুদ্র উপকূলবর্তী একাধিক দেশ তলিয়ে যাবে গভীর সমুদ্রে। এর মধ্যে ভারতও রয়েছে। এক নজরে দেখুন এই তালিকা।
মালে : মালদ্বীপের মালে এলাকার অবস্থা এখন খুবই ভয়াবহ। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই এলাকার সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ছিল ১.৪ মিলিমিটার। ২০১৫ সালে তা বেড়ে হয় ৩.৬ মিলিমিটার। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই দেশের ৭৭ শতাংশ সমুদ্রের তলায় চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কিরিবাতি : ওশিয়ানিয়ার কিরিবাতি দেশটিও এই সময় বিপদের মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে এই দেশে ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ বাস করেন। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই দেশের দুই তৃতীয়াংশ জলের তলায় থাকবে।
চীন : সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি কার্যত চীনের জন্যেও চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনের ৪৩ মিলিয়ন মানুষ সমুদ্রের ধারে বাস করেন। সমুদ্রের জলস্তর আরও বাড়লে চীনের একটা বড় ভূখণ্ড জলের তলে থাকবে।
ঢাকা : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সমুদ্রের তীরেই অবস্থিত। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ঢাকা শহর জলের তলায় ডুবে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর ফলে ৩২ কোটি মানুষের ঘরবাড়ি এবং সম্পত্তি নষ্ট হতে পারে।
ভারত : ভারতের তিন দিকের অংশ সমুদ্রের ধারে অবস্থিত। বিপদের মধ্যে রয়েছে ভারতও। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূলবর্তী রাজ্যগুলো আগামী দিনে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যার ফলে প্রায় ২৭ কোটি মানুষ তাদের বসবাসের জমি হারাবেন।
আরও পড়ুন : সস্তায় বিদেশ ভ্রমণের সুবর্ণ সুযোগ, দেখুন ১০ টি দুর্দান্ত ডেস্টিনেশন
আরও পড়ুন : মাত্র ১৫০০ টাকায় বিদেশ ভ্রমণ! মনের মত করে ঘুরে আসুন এই দেশ
ব্যাংকক : থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিপদের বাইরে নেই। সমুদ্র সৈকতের ধারে অবস্থিত এই শহর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু আগামী দিনে ব্যাংকক শহরের উপর সমুদ্র থাবা বসাতে পারে।