বর্তমান সময়ে বহু পর্যটক ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা নিতে উঁচু উঁচু পাহাড়ে চড়ছেন। তা সে সান্দাকফু হোক কিংবা লাদাখ, বরফের পাশাপাশি ট্রেকিংয়ের আকর্ষণে প্রায় সব মরসুমেই পর্যটকদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। আবার ট্রেকিংয়ে গিয়ে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি কিছু মৃত্যুরও খবর পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। ট্রেকিংয়ের বিপদ এড়াতে কী কী করবেন আপনি? কী কী করবেন না? জেনে নিন এখনই।
ধীরে চলুন : সাধারণত ৩ হাজার ফুট থেকে ১০ হাজার ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় গেলে শরীরকে সেই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর সময় দিতে হয়। কাজেই একেবারে একটানা বেশি উচ্চতায় ওঠার চেয়ে ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে এগোনো ভালো। বিশেষ করে যারা ট্রেকিংয়ে অভ্যস্ত নন তারা নতুন জায়গাতে গিয়ে প্রথমে দুদিন উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করুন।
কম ঘুমোন : যত বেশি উচ্চতায় উঠবেন তত কম ঘুমানোর চেষ্টা করুন। কারণ উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের ঘনত্ব কমে যায় এবং অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে। পাহাড়ে ঘোরা কিংবা ট্রেকিংয়ের জন্য অনেক বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু অক্সিজেন ধরে রাখার জন্য শরীরের লোহিত রক্তকণিকা খুব দ্রুত তৈরি হয় না। তাই কম ঘুমিয়ে শরীরের আভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ সক্রিয় রাখতে হবে।
পর্যাপ্ত জল পান : পাহাড়ে গেলে ডিহাইড্রেশন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে জল বা তরল খাদ্যবস্তু শরীরে জলের চাহিদার পাশাপাশি রক্তের অক্সিজেনের অভাব কমাবে। প্রস্রাব ঠিকমত হচ্ছে কিনা সেটাও খেয়াল রাখুন।
খাবার : পাহাড়ে গেলে সব সময় সহজ পাচ্য খাবার খেতে হবে। খাবার যদি হজম না হয় তাহলে তাহলে পাহাড়ে আরও বেশি বিপদে পড়বেন। যত বেশি সম্ভব শর্করা জাতীয় খাবার খাবেন এবং নুন কম খাবেন।
সঠিক প্রশিক্ষণ নিন : বেশি উচ্চতায় ওঠা কিংবা ট্রেকিংয়ের আগে সঠিকভাবে শারীরিক এবং মানসিক প্রস্তুতি রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা, নিশ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, অ্যারোবিক্স ইত্যাদি হার্ট এবং ফুসফুসকে ভালো রাখে। আপনার শরীর ট্রেকিংয়ের জন্য ফিট কিনা চেক করিয়ে নিন ডাক্তার দেখিয়ে।
আরও পড়ুন : সন্তানের বয়স কত হলে পাহাড়ে ভ্রমণ করা উচিত? না জানল চরম বিপদে পড়বেন
আরও পড়ুন : সান্দাকফুতে যাওয়ার আগে সাবধান! পর্যটকদের জন্য জারি হল কড়া নির্দেশিকা
নেশা ত্যাগ করুন : সিগারেট এবং অ্যালকোহল না পান করাই ভালো। অতিরিক্ত উচ্চতায় গেলে ঘুমের ওষুধ কিংবা অবসাদের জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খাওয়া যাবে না। যাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।