ভারতীয় রেল কম খরচে এবং কম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে সর্বদা তৎপর। সেই সঙ্গে যাত্রীদের সুবিধার্থে নিত্য নতুন ব্যবস্থাও আনা হচ্ছে রেলের তরফ থেকে। বদলে যাত্রীদের থেকে শুধু টিকিটের দামটুকুই নেওয়া হয়। তাও নিতান্তই কম অন্যান্য পরিবহন ব্যবস্থার তুলনায়। কিন্তু যাত্রীদের মধ্যে থেকে অনেকেই সেই টিকিটের দামটুকুও দিতে চান না।
আজ এই বর্তমান সময়েও বহু যাত্রী ট্রেনে যাতায়াত করছেন টিকিট ছাড়া। টিকিট ছাড়া ট্রেন ভ্রমণ কার্যত এক প্রকারের যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে অনেকের। কিন্তু এতদিন যা হয়েছে হয়েছে, এবার আর তা হবে না। বিনা টিকিটের যাত্রীদের ধরতে বদ্ধপরিকর রেল কর্তৃপক্ষ। তার জন্য চালু হলো বিশেষ ব্যবস্থা, ‘প্রগতি’।
বিনা টিকিটের যাত্রীদের ধরার জন্য মাঝেমধ্যেই রেলের তরফ থেকে বিশেষ বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। এবার যেমন টিকিট বিহীন যাত্রীদের ধরার জন্য একটি তিন কামরার লালা-সাদা ট্রেন চালানো হচ্ছে। যা যেকোনও এক্সপ্রেস ট্রেনকেও গতির নিরিখে টেক্কা দিতে পারে। আপাতত আসানসোল ডিভিশনে চলছে প্রগতি।
এই মাল্টিপারপাস টিকিট চেকিং স্পেশাল ট্রেন প্রগতি ধীরে ধীরে পূর্ব রেলের প্রত্যেকটা ডিভিশনেই চালু হবে বলে জানানো হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেনে বিনা টিকিটে যাত্রা করার প্রবণতা ইদানিং মানুষের মধ্যে বেড়ে গিয়েছে। প্রগতি সেটা রুখে দিতে পারবে বলেই তাদের বিশ্বাস। তবে প্রগতি শুধু এই কাজই করবে না, আরও একাধিক কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন : ট্রেনের শেষ কামরার পেছনে X লেখা থাকে কেন?
আরও পড়ুন : ১০,০০০ টাকা নগদ পুরস্কার দেবে ভারতীয় রেল! করতে হবে এই একটি ছোট্ট কাজ
ট্রেন যাত্রীরা অনেক সময় প্ল্যাটফর্মে নেমে লুকোনো রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই প্রবণতা রুখতে মাঝপথেই ট্রেন থামিয়ে টিকিট পরীক্ষা করবে প্রগতি। এছাড়া রেলের লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজে আসবে প্রগতি। এই ট্রেনের তিনটি কামরার মধ্যে মাঝের কামরাতে মাঝারি এবং ছোট ছোট মাপের সরঞ্জাম থাকবে। বাকি দুটি কামরাতে রেলকর্তা, টিকিট পরীক্ষক ও মেকানিকরা যাতায়াত করবেন।