স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পুজো দিলেই ডিভোর্স! স্বামী-স্ত্রী ভুলেও এই মন্দিরে পুজো দেবেন না

Published on:

Husband And Wife Can Not Worship In This Temple Know Why

ভারতবর্ষের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মন্দির। এক একটি মন্দিরের রয়েছে এক একটি উপাখ্যান। এই উপাখ্যানগুলো বেশিরভাগই দেবী দেবতাদেরকে কেন্দ্র করে। সাধারণত মন্দিরে গিয়ে দেবতাদের পুজো করে আশীর্বাদ নিলে জীবন সহজ হয় এমনই বিশ্বাস করেন ভক্তরা। কিন্তু কী হবে যদি দেবতাদের আশীর্বাদ হয়ে যায় অভিশাপ?

হিমাচল প্রদেশের সিমলাতে রয়েছে শ্রী কোটি মাতা মন্দির। এই মন্দিরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পুজো দিতে পারেন না। কারণ স্থানীয়দের বিশ্বাস দম্পতিরা যদি একযোগে এখানে পুজো দেন তাহলে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। এখানে দেবীর পুজো দিলে আশীর্বাদ নয়, জোটে অভিশাপ। এর নেপথ্যে অবশ্য রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনী।

Shrai Koti Mata Temple

বলা হয় ভগবান শিব যখন তার দুই পুত্র কার্তিক এবং গণেশকে মহাবিশ্ব প্রদক্ষিণ করার কথা বলেছিলেন তখন কার্তিক তার বাহন ময়ূরে চেপে মহাবিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। অন্যদিকে গণেশ ভাবতে থাকেন তিনি যদি তার বাহন ইঁদুরে চেপে বিশ্ব ভ্রমণে বের হন তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। তাই তিনি মাতা ও পিতা অর্থাৎ শিব ও পার্বতীকেই প্রদক্ষিণ করে নেন। কারণ তাদের পায়েই যে রয়েছে গোটা বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড!

এদিকে গণেশের এই বুদ্ধি দেখে খুবই সন্তুষ্ট হন শিব ও পার্বতী। তারা সিদ্ধি ও ঋদ্ধি নামের দুই কন্যার সঙ্গে গণেশের বিয়ে দিয়ে দেন। এদিকে কার্তিক ব্রহ্মাণ্ড প্রদক্ষিণ করে ফিরে আসার পর দেখেন গণেশ তার থেকে ছোট হওয়া সত্ত্বেও তার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সমস্ত ঘটনা শুনে তিনি ভীষণ রেগে যান এবং সারা জীবন ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন করার প্রতিজ্ঞা করে বসেন।

Shrai Koti Mata Temple

কার্তিকের এই প্রতিজ্ঞায় ভীষণ রেগে যান দেবী পার্বতী। তিনি অভিশাপ দেন এরপর থেকে এই জায়গায় কোনও দম্পতি একসঙ্গে পূজা করলে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যাবে। আর সেই জায়গা ছিল হিমাচল প্রদেশের সিমলার ওই শ্রী কোটি মাতা মন্দিরের স্থান। সেখানেই নাকি তখন বসেছিলেন শিব এবং পার্বতী। ওই স্থানে মন্দির গড়ে তোলা হয় পরবর্তীকালে। কিন্তু অভিশাপের কারণে দম্পতিরা কেউ এখানে একসঙ্গে পুজো দিতে পারেন না।

আরও পড়ুন : এই মন্দিরে গেলেই ভেঙে যায় প্রেম! কাপলরা ভুলেও পা রাখবেন না এই অভিশপ্ত মন্দিরে

Shrai Koti Mata Temple

আরও পড়ুন : কবে খুলবে দীঘার জগন্নাথ মন্দির? বড় আপলোড দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তবে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে পুজো দিতে না পারলেও আলাদা আলাদা পুজো দিতে অবশ্য আপত্তি নেই কোনও। একজনের পুজো দেওয়া হয়ে গেলে অপরজন পুজো দিতে যেতে পারেন। এই মন্দিরে গণেশের মূর্তি রয়েছে এবং তার স্ত্রীদের মূর্তি রয়েছে।