বেড়াতে কার না ভালো লাগে? মানসিক এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে দেশ-বিদেশে অনেকেই ভ্রমণ করতে চান। কিন্তু সাধ থাকলেও সব সময় সাধ্যে কুলিয়ে ওঠে না অনেকের। কারণ বেড়ানোর খরচ রয়েছে। কিন্তু কিছু বিষয় মাথায় রাখলে বেড়ানোর খরচ অনেকটাই কমিয়ে ফেলতে পারবেন আপনি। জেনে নিন কীভাবে ট্যুর প্ল্যান করলে খরচ অনেকটাই কমানো যায়।
বেড়ানোর জায়গা ঠিক করুন
সবার আগে ঠিক করতে হয় কোথায় যাবেন। আপনার বাজেট অনুসারে জায়গা নির্বাচন করুন। ট্রেনে কিংবা বাসে যাওয়ার পরিবর্তে যদি ফ্লাইটের টিকিট বুকিং করতে হয় তাহলে কিন্তু খরচ এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায়।
অনলাইনে রিসার্চ করুন
এখন অনলাইনে ওয়েবসাইটে কিংবা ইউটিউবে ট্রাভেল ব্লগারদের থেকে বেড়ানো সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারবেন। আপনি যেখানে যেতে চান সেখানে কীভাবে যাবেন, কীভাবে গেলে কম খরচ হবে, কোথায় থাকবেন, কোথায় খাবেন, কোথায় ঘুরবেন ইত্যাদি বিষয়গুলো অনলাইনে একটু খোঁজখবর নিয়ে নিন।
অফ সিজন বেছে নিন
যে কোনও জায়গাতেই সিজন এবং অফ সিজনের ব্যাপার থাকে। সিজনের সময় অর্থাৎ যে সময় প্রচুর পর্যটকদের ভিড় হয় তখন গেলে স্বাভাবিকভাবেই থাকা, খাওয়া এবং ঘোরার খরচ বেড়ে যাবে। অফ সিজনে কিন্তু একই জায়গা ঘুরতে খরচ প্রায় অর্ধেক কম হয়। কিছু কিছু জায়গাতে তো অফ সিজনে হোটেলের ভাড়া ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
মেটা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করুন
এখন অনলাইন সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ফ্লাইট এবং হোটেলের ভাড়া যাচাই করতে পারবেন বাড়িতে বসেই। সাহায্য নিতে পারেন গুগলের কোনও সংস্থার থেকে যদি ফ্লাইট কিংবা হোটেল বুকিং করেন সেক্ষেত্রে অযথা চার্জ কিংবা কমিশন দিতে হবে। নিজে থেকে বুকিং করলে অনেক কমে বুকিং করতে পারবেন।
আগেভাগে বুকিং করুন
দেশের মধ্যে কিংবা বিদেশে ঘুরতে হলে অনেকেই ফ্লাইটে যাতায়াত পছন্দ করেন। ফ্লাইটে যদি যেতে হয় তাহলে যতটা পারবেন আগে টিকিট কাটুন। কারণ যাওয়ার দিন যত এগিয়ে আসবে টিকিটের চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া তত বাড়বে। অন্তত তিন মাস আগে টিকিট কাটলে দাম অনেকটাই কমবে।
কীভাবে বেড়ানোর জন্য টাকা বাঁচাবেন?
- আপনার প্রতি মাসের খরচ হিসাব করুন। একটি নোটবুকে হিসেব করে দেখুন কোন কোন জিনিসে অপ্রয়োজনীয় টাকা ব্যায় হচ্ছে। নেশার সামগ্রীতে খরচ এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে যতটুকু টাকা বাঁচানো যায় তা বেড়ানোর জন্য জমিয়ে রাখুন।
- প্রায় প্রতিদিনই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া কিংবা ফুড ডেলিভারি অ্যাপ থেকে খাবার অর্ডার দেওয়ার প্রবণতা কমান। ইউটিউব দেখে বিভিন্ন কুইজিন্যের খাবার নিজেই বাড়িতে বানানোর চেষ্টা করুন। খরচ কমবে, আবার নিজের হাতে রান্না খেয়ে মানসিক শান্তিও পাবেন।
আরও পড়ুন : ১০ হাজার টাকায় ঘোরা যায় ভারতের এমন ১০ জায়গা! দেখে বানিয়ে ফেলুন ট্যুর প্ল্যান
- যদি বেশ কোনও বড় ট্যুর প্ল্যান থেকে থাকে তাহলে তার জন্য আগেভাগেই একটু একটু করে টাকা জমান। এক্ষেত্রে বেস্ট অপশন রেকারিং ডিপোজিট। প্রতি মাসে অল্প অল্প টাকা জমিয়ে ভালো রিটার্ন পাবেন। দীর্ঘ সময়ের জন্য রেকারিং ডিপোজিট করলে অনেক বেশি সুদ পাওয়া যায়।