হাওড়া স্টেশন, প্রত্যেকদিন দূর দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার মানুষ এখানে নিত্যদিন যাতায়াত করেন। হাওড়া স্টেশনে প্রচুর মানুষের ভিড় সবসময় থাকে। তার মাঝেই ঘাপটি মেরে থাকে চোর পকেটমারদের দল। একটু অসাবধান হলেই খোয়া যাবে আপনার পার্স কিংবা মোবাইল। বিশেষ করে মোবাইল চোরদের দাপটে সব সময় ভয়ে ভয়ে থাকেন যাত্রীরা। কীভাবে বাঁচবেন এদের হাত থেকে?
আজ থেকে নয়, হাওড়া স্টেশনে এরকম পকেটমারি চলছে কয়েক দশক ধরে। বিগত কয়েক মাসে স্টেশন চত্বরে মোবাইল চুরির ঘটনা বাড়ছে। সন্ধ্যার পর ও অফিস টাইমে এই ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। হাওড়া বর্ধমান মেন, কর্ড, ব্যান্ডেল, তারকেশ্বর, কাটোয়াসহ সব লাইনেই মোবাইল চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি লেডিস কামরাগুলোতেও এই ঘটনা হচ্ছে।
আসলে যাত্রীরা যে মুহূর্তে ট্রেন ধরার জন্য তাড়াহুড়ো করেন, প্রচন্ড ভিড় হয়ে যায় ঠিক তার মধ্যে মিশে যায় এই পকেটমারেরা। হুড়োহুড়ির মধ্যে যাত্রীদের খেয়াল থাকে না আর মোবাইলের উপর। ট্রেন ধরার তাগিদে থাকেন যাত্রীরা। এদিকে হাপিজ হয়ে যায় তাদের মোবাইল।
এছাড়া মোবাইলের চার্জিং পয়েন্ট থেকেও চুরির ঘটনা ঘটছে। হাওড়া স্টেশনে ফোন চার্জ দেওয়ার পয়েন্টে মোবাইল বসিয়ে যাত্রীরা হয় ঘুমিয়ে পড়ছেন নয়তো কোথাও খাবার কিনতে যাচ্ছেন। সেই মুহূর্তেই মোবাইল চুরি করে চলে যাচ্ছে চোরেরা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অনেক সময় তাদের ধরা যায়। অনেক সময় এত দেরি হয়ে যায় যে তখন আর কিছু করার থাকে না। আবার হাতে মোবাইল থাকা অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাচ্ছে অনেকে।
কিন্তু প্রশ্ন হল এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে কারা? জিআরপির দাবি নিষিদ্ধ নেশা করা তরুণ প্রজন্মের একটা অংশ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যারা হেরোইন এবং গাঁজার নেশা করে তারাই মূলত টাকার জন্য অন্যের মোবাইল ফোন চুরি করছে। এদের ধরেও কোনও লাভ হয় না। কারণ ছাড়া পাওয়া মাত্র এক সপ্তাহ পর থেকেই আবার একই কাজ করে। তাই মানুষকেই সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন : চলন্ত ট্রেনেই পাওয়া যাবে খাবার! শুধু সেভ রাখুন এই নম্বর
আরও পড়ুন : স্টেশন মাস্টার হোক বা টিটিই! শুধু মহিলারা চালায় ভারতের এই ৫ রেলস্টেশন
জিআরপির দাবি, যাত্রীরা সচেতন না হলে মোবাইল চুরির ঘটনা আটকানো যাবে না। মাসে ৫০০ থেকে ৫৫০ টি খোয়া যাওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয় এখন। অনেক সময় মোবাইল নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা যাত্রীরাও রেল পুলিশকে জানান না। তাই মোবাইল চুরি হলে জিআরপিকে আগে খবর দিন।