বেড়াতে যেতে কে না ভালবাসে? কিন্তু বেড়াতে গিয়ে মোশন সিকনেসের কবলে যারা পড়েন তাদের কাছে বেড়ানোটা যেন একটা শাস্তি হয়ে দাঁড়ায়। বাসে, গাড়িতে, বিমানে কিংবা নৌকায় চড়লেই বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়। বেড়ানোর আনন্দটাই এতে মাটি হয়। আপনিও কি এই সমস্যায় ভোগেন? জানুন মোশন সিকনেস থেকে কীভাবে মুক্তি পাবেন?
মোশন সিকনেস আসলে কী ও কেন হয়?
জাহাজ, নৌকা, বিমান কিংবা গাড়ির দুলুনিতে বা বিভিন্ন গতিতে গাড়ি ছুটলে শরীরের অঙ্গগুলো বিভিন্ন গতি অনুভব করে। এরপর সেই অঙ্গগুলো থেকে সংকেত পৌঁছে যায় মস্তিষ্কে। গোটা শরীর থেকে এইভাবে আলাদা আলাদা সংকেত মস্তিষ্কে পৌঁছলে মস্তিষ্কের স্নায়ুও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। শরীরের ভারসাম্য নষ্ট হয়। স্নায়বিক কারণেই তখন মাথা ঘোরা, গা গোলানো, বমি ভাব দেখা দেয়। অনেকের আবার লিফটে ওঠানামার সময়েও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় শরীরে।
মোশন সিকনেস কতক্ষণ থাকে?
বিশেষজ্ঞদের মতে মোশন সিকনেস সাময়িক ব্যাপার। ৪ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় না।
মোশন সিকনেস আটকাবেন কীভাবে?
- চলন্ত বাসে কিংবা গাড়িতে উঠে বই পড়বেন না বা মোবাইল দেখবেন না।
- বাস বা গাড়িতে সব সময় সামনের সিটে বসুন। পেছনের দিকে বসবেন না।
- শরীরে যেন জলের অভাব না হয়। শরীর ডিহাইড্রেটেড রাখা যাবে না।
- গাড়ি যেদিকে এগোচ্ছে সেই দিকে মুখ করে বসুন।
- গাড়িতে ওঠার আগে ভর পেট খাবার খাবেন না। আবার খালি পেটেও গাড়িতে উঠবেন না। হালকা কিছু খাবার খাবেন।
- গাড়িতে ওঠার আগে বমির ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন।
- গাড়িতে ওঠার আগে মুখে এক টুকরো আদা রাখতে পারেন। একটি কৌটোতে করে ব্যাগের মধ্যেও কিছুটা আদা রাখুন।
- বেড়ানোর আগের দিন ভালোভাবে ঘুমোবেন।
আরও পড়ুন : সিট ছাড়াও ট্রেন টিকিটে কী কী ফ্রী পাওয়া যায়? ৯৯% মানুষ জানেন না
মোশন সিকনেস হলে কী করবেন?
- যখনই শরীর খারাপ করবে বাস বা গাড়ির জানলা খোলা রাখুন। খোলা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নিন।
- বাসে বা বিমানে থাকলে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন।
- লেবুর পাতা বা লেবুর খোসার গন্ধ নিন। পুদিনা পাতাও খেতে পারেন।
- জোয়ান বা লবঙ্গ মুখে নিন। জল খেতে হবে। টক জাতীয় ফল খেতে পারেন অ্যাসিডিটি না থাকলে।
আরও পড়ুন : হোটেলের আলমারির মধ্যে ভুলেও রাখবেন না পোশাক! ওঁত পেতে আছে এই বিপদ
- সম্ভব হলে গাড়ি থামিয়ে কিছুক্ষণ বাইরে হাঁটাহাঁটি করুন। কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারেন গাড়িতে।
- চুইংগাম খেতে পারেন। বমি ভাব কেটে যাবে।
- ঘাড়ে ও কানে বারবার জল দিন।