পুরীর রত্ন ভান্ডারে মোট কত সোনা আছে? শুনলে চোখ কপালে উঠবে আপনার

Published on:

How Much Gold Are Present In Puri Jagannath Mandir Ratnabhandar

পুরীর রত্নভাণ্ডার নিয়ে সাধারণের মনে কৌতুহলের আর শেষ নেই। বলা হয় নাকি অনেক দামি দামি মণিমাণিক্য, সোনা-দানা লুকিয়ে রাখা হয়েছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরের রত্ন ভান্ডারে। এই রত্ন ভান্ডার খোলাও হয় না। পুরীর রত্ন ভান্ডারে কত কেজি সোনা আছে? কত মণি মানিক্য রয়েছে? সেগুলোর দাম কত? জানুন আজকের এই প্রতিবেদন থেকে।

পুরীর রত্ন ভান্ডারে নাকি অনেক কেজি কেজি সোনা, রুপোর গয়না রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ করেছে খোদ জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। ১৯৭৮ সালে হাইকোর্টের একটি নির্দেশে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তুলে ধরা হয় জগন্নাথ দেবের রত্ন ভান্ডারের সম্পত্তির খতিয়ান। তাতে উল্লেখ ছিল এখানে নাকি ১৫০ কেজি সোনা রয়েছে। রুপোর গয়না রয়েছে ১৮৪ কেজি।

How Much Gold Are Present In Puri Jagannath Mandir

১৯৭৮ সালে যখন রত্ন ভান্ডার খোলা হয় তখন তাতে কী কী গয়না রয়েছে সেগুলো গোনা হয়েছিল। রত্ন ভান্ডারের মধ্যে তিনটি প্রকোষ্ঠে রয়েছে সেসব। এই যে গয়নাগুলো এখানে রাখা আছে সেগুলো নাকি কখনও ব্যবহার করা হয়নি। জগন্নাথ দেবের ব্যবহৃত গয়না আলাদা। সেগুলো এই রত্ন ভান্ডারের গয়নার মধ্যে পড়ে না।

জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা ও বলরামের দৈনিক পুজোর কাজে যে সমস্ত গয়না ব্যবহার করা হয় সেগুলো রাখার জন্য আরও একটি ঘর রয়েছে। উল্লেখ্য, এসব সম্পত্তির গননা হয়েছিল ৪৫ বছর আগে। বিগত কয়েক দশকে সোনা ও রুপোর অলংকারের মূল্য কয়েক গুণে বেড়েছে। উল্লেখ্য, জগন্নাথ মন্দির আইন ১৯৫৫ অনুসারে প্রত্যেক তিন বছর অন্তর মন্দিরের রত্ন ভান্ডারের তালিকা তৈরি করতে হবে। কিন্তু তা করা হয়নি।

How Much Gold Are Present In Puri Jagannath Mandir

১৯২৬ সালে মন্দিরের কোষাগারের তালিকা তৈরি হয়েছিল। ১৯৭৮ সালের আবারও একবার গণনা হয়। তাতে অবশ্য সব গয়নার তালিকা ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। ২০১৮ সালেও একবার রত্ন ভান্ডার খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন চাবি পাওয়া যায়নি। বর্তমানে মন্দিরের আয় প্রত্যেক বছর প্রায় ১৫০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রান্নাঘরে লুকিয়ে আছে এক অলৌকিক রহস্য! জানলে চমকে যাবেন

How Much Gold Are Present In Puri Jagannath Mandir

আরও পড়ুন : পুরীর জগন্নাথ মন্দির ছাড়াও দেখতে পারেন উড়িষ্যার এই ৫ দর্শনীয় স্থান

প্রত্যেক বছর ১.৭২ কোটি টাকারও বেশি অনুদান পাওয়া যায়। ব্যাঙ্কে ডিপোজিটের পরিমাণ প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। রত্নভান্ডারে মজুদ সোনা ও রুপোর সঠিক পরিমাণ এবং মূল্য আজও জানা যায়নি। মন্দিরের মধ্যে প্রায় ৮৬২ বছরের পুরনো গয়না আছে বলে দাবি করা হয়। এই রত্ন ভান্ডার নাকি পাহারা দিচ্ছেন নাগরাজ। খুব শীঘ্রই রত্ন ভান্ডার খুলে আবার গণনা হতে পারে।