নতুন নতুন প্রেমে পড়লে বা বিয়ে হলে কিংবা বিয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে মন্দিরে অনেকেই যান। কিন্তু কী হবে যদি ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে গিয়ে অভিশাপ জোটে কপালে? যাকে নিয়ে ঘর বাঁধবেন বলে স্বপ্ন দেখলেন, তার সঙ্গে ভগবানের মন্দিরে পা রাখা মাত্রই যদি ভেঙে যায় সম্পর্ক তাহলে এমন মন্দিরে যাবেন কি? ভুলেও অবিবাহিত কাপলরা যাবেন না এই মন্দিরে।
সামনেই রথযাত্রা। হিন্দুদের অতি পবিত্র একটি উৎসব। বলা হয় নাকি রথযাত্রা উৎসবের অংশগ্রহণ করলে ১০০ যজ্ঞের পুণ্য অর্জন হয়। কিন্তু সেই জগন্নাথ মন্দিরেই নাকি অবিবাহিত প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে। তার কারণ স্বয়ং রাধারানীর অভিশাপ। রাধাই জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশে প্রেমিক যুগলকে অভিশাপ দিয়েছেন।
এর নেপথ্যে রয়েছে একটি পৌরাণিক কাহিনী। একবার নাকি রাধারানী জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করতে গিয়েছিলেন। ওই সময় মন্দিরের পুরোহিত তাকে বাধা দেন। রাধারানীকে জগন্নাথ দেবের মন্দিরে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না ওই পুরোহিত। কারণ জানতে চাইলে পুরোহিত বলেন রাধা শ্রীকৃষ্ণের বিবাহিতা স্ত্রী নন। তাই তিনি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এই কথাই ভীষণ রুষ্ট হন রাধারানী। তিনি এই অপমান মেনে নিতে পারেননি। কৃষ্ণের সঙ্গে বিয়ে না হওয়ার কারণে তিনি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না, পুরোহিতের এই নিদানে রাগে রাধা অভিশাপ দিয়ে বসেন জগন্নাথ মন্দিরকে। তিনি অভিশাপ দিয়েছিলেন, এরপর থেকে কোনও অবিবাহিত প্রেমিক যুগল মন্দিরে প্রবেশ করলে তাদের প্রেম কখনোই পূর্ণতা পাবে না।
আরও পড়ুন : মহিলা পুরোহিত দিয়ে হয় পূজো! ভারতের এই ৪ মন্দিরে পুরুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ
রাধারানীর অভিশাপে অভিশপ্ত হয়ে যায় জগন্নাথ মন্দির। আজও নাকি সেই অভিশাপ বজায় রয়েছে মন্দিরের উপর। তাই আজও মন্দিরে অবিবাহিত যুগলদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। রাধার অভিশাপের ভয়ে অবিবাহিত দম্পতিদের মন্দিরে যেতে দেওয়া হয় না।