বাঁকুড়া যাওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে বাজেটের লিস্ট আরও কমিয়ে ফেলুন। কারণ বাঁকুড়াতে গিয়ে থাকার খরচ এবার থেকে নামমাত্র পড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজে হোক কিংবা ঘোরাঘুরি, যদি বাঁকুড়ার নূতনগঞ্জ ধর্মশালায় রাতে থাকার পরিকল্পনা করেন তাহলে বাজেট এক ধাক্কায় কয়েক গুণ কমে যাবে। কীভাবে? জানুন এই প্রতিবেদন থেকে।
মাত্র ৯০ টাকায় বাঁকুড়ার নূতনগঞ্জ ধর্মশালায় থাকার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ১০৫ বছরের পুরনো এই ধর্মশালার কথা হয়তো অনেকেই জানেন। রাঠি এবং বাজুরিয়া পরিবার ১০৫ বছর আগে এই ধর্মশালা খুলেছিল। প্রধানত ব্যবসায়ীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিতেই এই পরিকল্পনা হয়েছিল। এখনও ছোটখাটো ব্যবসায়ী থেকে পর্যটকরা নামমাত্র খরচে এখানে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন।
থাকার খরচ কম বলে ভাববেন না নূতনগঞ্জ ধর্মশালায় নিম্নমানের পরিষেবা পাবেন। একদমই না। এই ধর্মশালাতে এলাহি আয়োজন রয়েছে গ্রাহকদের জন্য। এসি থেকে নন এসি, সিঙ্গেল থেকে সিক্স বেডারের বন্দোবস্ত রয়েছে এখানে। মাত্র ৯০ টাকা দিয়ে থাকতে পারবেন এরকম ৫০ টি ঘর রয়েছে এখানে। প্রত্যেকটি ঘরে তিনটে বেড ও বালিশ থাকবে।
৯০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা পর্যন্ত থাকার রুম পাবেন এখানে। এখানে ৪৪ টি এসি রুম রয়েছে। যেগুলো পাওয়া যাবে মাত্র ৭০০ টাকায়। এসি ডিলাক্স রুমের ভাড়া ১০০০ টাকা। যেখানে ৬ জন থাকতে পারবেন। আবার বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানের জন্যও এই ধর্মশালা ভাড়া দেওয়া হয়। তার খরচ গুলো জেনে নিন।
ধর্মশালাতে ৪৪ টি রুম নিয়ে বিয়ে বাড়ি ভাড়া করলে ৪৪ হাজার টাকা দিতে হবে। যদি কেউ ১৮ টি ঘর, রান্নাঘর এবং ৩ টি মিনি হল বুক করেন তাহলে ১৮ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু এখানে মদ্যপান এবং ধূমপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। ধর্মশালাতে থাকুন কিংবা অনুষ্ঠানে যোগ দিন, মদ্যপান এবং ধূমপান সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা মানতে হবে কঠোরভাবে।
আরও পড়ুন : হাতের কাছেই রয়েছে মিনি গোয়া! নতুন এই সমুদ্র সৈকতে না গেলেই চরম মিস
আরও পড়ুন : বর্ষায় উপচে পড়ে ফুলের বাগান! জুন-জুলাই মাসে ঘুরে আসুন পৃথিবীর স্বর্গোদ্যান থেকে
তবে এই ধর্মশালাতে খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত নেই। খাবার খেতে হলে বাইরে থেকে খেয়ে আসতে হয়। শুধু রাতে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু এখানে মিলবে। যদি থাকার খরচ কমে যায় তাহলে বাইরে রেস্তোরাঁ থেকে মন ভরে পেট পুজোতে বাধা থাকবে না। আর ব্যবসায়ীরা তাদের জিনিসপত্র রাখার জন্য স্টোর রুম পাবেন। সব মিলিয়ে বন্দোবস্ত বেশ খাসা।