গোটা সপ্তাহ বাড়ি এবং অফিসের চাপ সামলানোর পর যখন সপ্তাহান্ত আসে তখন আর ঘরে মন টিকতেই চায় না। বিশেষ করে যারা ভ্রমণ প্রেমী তারা উইকেন্ডের এক-দু দিনের ছুটিটাকেও কাজে লাগাতে চান। আজকের এই প্রতিবেদন সেই ভ্রমণ প্রেমীদের জন্যেই। যারা কলকাতার আশেপাশে ছোটখাটো জায়গাতে ঘোরার প্ল্যানিং করছেন তারা জেনে রাখুন এই কয়েকটি টুরিস্ট স্পট সম্পর্কে।
চন্দননগর
কলকাতা থেকে মাত্র ৪৮ কিলোমিটার দূরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত সাজানো-গোছানো ছোট্ট শহর চন্দননগর। এই জায়গা আগে ফরাসিদের ঘাঁটি ছিল। সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক দিক থেকে সমৃদ্ধ এই শহর। আপনি ট্রেনে কিংবা গাড়িতে বা জলপথে আসতে পারেন চন্দননগরে। এখানে নন্দদুলাল মন্দির, চন্দননগর মিউজিয়াম, চন্দননগর চার্চ বা পাতাল বাড়ি রয়েছে দর্শনীয় স্থানের মধ্যে।
তারকেশ্বর
কলকাতা থেকে হুগলির তারকেশ্বরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। এখানে রয়েছে জ্যোতিরালিঙ্গের মন্দির। যাকে দ্বাদশ জ্যোতিরালিঙ্গের মধ্যে অন্যতম বলে মানা হয়। এছাড়াও রয়েছে নাট মন্দির, লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, কালী মন্দির, দুধপুকুর, বুদ্ধ মন্দির ইত্যাদি।
রায়চক
যদি গঙ্গার ধারে পিকনিক করার বাসনা থাকে তাহলে কলকাতা থেকে মাত্র ৫৪ কিলোমিটার দূরে রায়চকে পৌঁছে যান। শীতের সময় এখানে বেশ ভিড় হয়। গরমের সময় ভিড় কম থাকে। এখানে দুর্গ, ডায়মন্ড হারবার, লাইট হাউস, চিংড়িখালি দুর্গ দেখতে পাবেন। বেশ কিছু বিলাসবহুল অভিজাত রিসোর্ট রয়েছে এখানে।
আরও পড়ুন : বর্ষার সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান? উইক এন্ডে ঘুরে আসুন এই ৪ জায়গা থেকে
আরও পড়ুন : অনেক হল দীঘা-পুরী! নিরিবিলিতে সময় কাটাতে ঘুরে আসুন এই ৫ সমুদ্র সৈকত
চাঁদিপুর সৈকত
উড়িষ্যার বালেশ্বরের চাঁদিপুর সৈকত বেশ জনপ্রিয় একটি টুরিস্ট স্পট। কলকাতা থেকে মাত্র ৭ ঘন্টা লাগে পৌঁছাতে। ভাটার সময় সমুদ্র ৫ কিলোমিটার দূরে চলে যায় বলে একে অদৃশ্য সমুদ্র বলা হয়। এখানে জীব বৈচিত্র্য নজর কাড়া। আপনি এখান থেকে পঞ্চলিঙ্গেশ্বর, দেবকুন্ডু জলপ্রপাত, নীলগিরি জগন্নাথ মন্দির, ইমামি জগন্নাথ মন্দির, খিরাচরা গোপীনাথ মন্দির, বুড়িবালাম নদীর মোহনা সহ নানা স্থান দেখতে পাবেন।