বর্ষা এসে কড়া নাড়ছে দরজায়। এই সময় গাঢ় সবুজ রংয়ে সেজে উঠবে প্রকৃতি। শহরের কোলাহল থেকে বাইরে বেরিয়ে একটু নিরিবিলিতে প্রকৃতির কোলে সময় কাটাতে এখন বেশ ভালই লাগবে। যদি আপনিও সেই অভিজ্ঞতা লাভ করতে চান তাহলে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না আপনাকে। পশ্চিমবঙ্গের আনাচে-কানাচে এরকম অসংখ্য জায়গা রয়েছে যেগুলো বর্ষা কাটানোর জন্য একেবারে আদর্শ। এক নজরে দেখে নিন কোন কোন জায়গায় যাবেন।
মুকুটমণিপুর
উইকেন্ডে ঘোরার জন্য অনেকেই মুকুটমণিপুরের প্ল্যান বানিয়ে নেন। বর্ষার সময় এই জায়গার পরিবেশ অনেক বেশি মনোরম হয়ে ওঠে। ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির তৈরি মুকুটমণিপুর বাঁধ রয়েছে এখানে। কংসাবতী এবং কুমারী নদীর সঙ্গমস্থলে রয়েছে কৃত্রিম জলাধার। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এখানে আরামসে বেড়াতে পারবেন।
বকখালি
কাছাকাছির মধ্যে বকখালি হল বর্ষায় ঘোরার জন্য একেবারে আদর্শ। এখানে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, ভগবতপুর কুমির প্রকল্প, সুন্দরবন সাগরদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ দ্বীপ। বকখালি থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখতে দারুণ লাগবে। কলকাতা থেকে মাত্র ১২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই দ্বীপে গোটা পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : আজ থেকে সুন্দরবন প্রবেশ নিষিদ্ধ! এই তারিখে ফের খুলবে দরজা
সুন্দরবন
শীতকালের পাশাপাশি সুন্দরবন বর্ষাকালেও অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটানোর জন্য ভালো বেড়ানোর পরিকল্পনা করতে পারেন এখানে। ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে বন্য সাফারি হোক কিংবা বৃষ্টির সময় হাউজবোটে করে সুন্দরবনের নদী ভ্রমণ, আবার যদি কপাল ভালো থাকে তাহলে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির এবং বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির দেখা পাবেন। এমন সুযোগ কি আর হাতছাড়া করতে আছে?
আরও পড়ুন : জুন-জুলাই মাসে ঘোরার জন্য ভারতের সেরা ১০টি জায়গা, না গেলে চরম মিস
ডায়মন্ড হারবার
কলকাতা থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরেই হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত ছোট্ট শহর ডায়মন্ড হারবার। এখানে প্রচুর মাছ পাওয়া যায় বর্ষার সময়। আবার ২০০ বছরের পুরনো লাইট হাউস দেখতে পারবেন। বোট রাইড করতে পারবেন।