বাঙালি মাত্রই কমবেশি ভ্রমণপ্রেমী। কেউ পাহাড় ঘুরতে ভালোবাসেন, কেউ বা সমুদ্র। আবার কেউ দুটোই। শরীর এবং মন দুটোই ভালো করার জন্য মাঝে মাঝে বেড়ানো ভালো। তবে জানেন কি পাহাড় এবং সমুদ্রের মধ্যে কোন জায়গা মন ভালো করার জন্য সবথেকে এগিয়ে? এর উত্তর দিয়েছেন মনো বিজ্ঞানীরা। জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাহাড় নাকি সমুদ্র? মন ভালো করতে কোথায় যাওয়া উচিত তার উত্তর দিয়েছে ব্লু মাইন্ড থিওরি। সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ব্লু মাইন্ড থিওরি সংক্রান্ত পোস্ট। এতেই মিলবে আসল উত্তর। আসলে ২০১৫ সালে বিজ্ঞানী ওয়ালে জে নিকোলাস ব্লু মাইন্ড থিওরি দিয়েছেন। এতে তিনি পরীক্ষা করেছিলেন কোন পরিস্থিতির মনের উপর সবথেকে ভালো প্রভাব ফেলে।
ব্লু মাইন্ড থিওরিতে বলা হয়েছে মানুষ সমুদ্রের কাছাকাছি গেলে তার মন সব থেকে ভালো হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। মানসিক চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেন। এমনিতেও মনোবিজ্ঞানীরা বলেন জলের কাছাকাছি গেলে বা জলের মধ্যে সাঁতার কাটলে মানসিক স্ট্রেস দূর হয়। মনের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করে। ধ্যান করলে ঠিক যেমনটা হয় সেরকম।
জল দেখা এবং জলের শব্দ শোনা, এই দুটো মনের উপর ভালো প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক এতে শান্ত হয়। মন শান্ত থাকে। মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয়ে যায়। মাথা যেন একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। আর একেই বলা হয় ব্লু মাইন্ড থিওরি। সমুদ্রের জলের রং নীল। যে কারণে এই থিওরিকে এমন নাম দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিজ্ঞানী বোঝাতে চেয়েছেন সমুদ্রে গেলে মন সবথেকে বেশি ভালো থাকে।
আরও পড়ুন : শুধু পুরী নয়, উড়িষ্যাতে আছে আরও ৪টি সমুদ্র সৈকত, ৯৯ % মানুষ জানেন না
আরও পড়ুন : আমাদের রাজ্যেই রয়েছে মিনি লাক্ষাদ্বীপ, ৯০% মানুষ জানেন না এই অফবিট লোকেশন
তবে ক্ষেত্র বিশেষে কারও কারও আবার সমুদ্রের বদলে পাহাড় বেশি পছন্দ। অনেকে সমুদ্র পছন্দই করেন না। তারা পাহাড়ে গিয়ে শান্তি পান। কিন্তু জল, জলের রং, জলের শব্দ ও স্পর্শ কার্যত সার্বিকভাবে মানব মস্তিষ্ক এবং মনের উপর ভালো এবং ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর জন্য আপনাকে সবসময় সমুদ্রে যেতে হবে তা নয়। নিয়মিত সুইমিংপুলের জলে সাঁতার কেটেও আপনি মন ভালো রাখতে পারেন।