পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির তৈরি হবে দীঘায়। তাই দীঘার সমুদ্র সৈকতকে ঢেলে সাজাচ্ছে প্রশাসন। দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ এই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিল। দীঘার বেআইনি দখলদারি আটকাতে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। যার ফলে এবার থেকে আর দীঘার সমুদ্র সৈকতে অবৈধভাবে বসতে পারবেন না কেউ।
দীঘা পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটন স্থান। প্রায় প্রত্যেকদিন এখানে মানুষের ভিড় লেগে থাকে। আর সেই কারণে ব্যবসার জন্য রাস্তা দখল করে গজিয়ে ওঠে ঝুপড়ি কিংবা অস্থায়ী দোকান। দীঘা-শংকরপুর উন্নয়ন পরিষদের আধিকারিকেরা এই অবৈধ হকারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে দীঘার সমুদ্র সৈকতে আর কোনও অস্থায়ী দোকান থাকবে না।
দীঘা শংকরপুর উন্নয়ন পরিষদের হেড ক্লার্ক চন্দন কর্মকার জানিয়েছেন সমুদ্র সৈকতের উপর হকারদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা বেঞ্চ নিয়ে বসে ডাব বিক্রি করেন তাদের তুলে দেয়া হয়েছে। আর কাউকে বসতে দেওয়া হবে না। দীঘার সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্দেশ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিউ দীঘা থেকে ওল্ড দীঘা পর্যন্ত সৈকত এবং রাস্তার দু’ধারে হকারদের অবৈধ দখল রুখতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। দীঘাতে সারা বছর পর্যটকদের ভিড় থাকে। তাই ব্যবসার জন্য এখানে সমুদ্রের ধারে অনেক চা, মাছ ভাজা, শঙ্খের জিনিস, ডাবের দোকান ইত্যাদি রয়েছে। সৈকত নোংরাও হয় যে কারণে। আর তাছাড়া পর্যটকদের ঘোরাফেরাতেও অসুবিধা হয়।
আরও পড়ুন : মাত্র ৯০ টাকায় নিশ্চিন্তে রাত কাটান! পর্যটকদের জন্য সস্তার ব্যবস্থা করলো বাঁকুড়া
আগামী দিনে দীঘাতে নতুন মন্দির খুলে গেলে পর্যটকদের ভিড় আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তখন পর্যটন স্থলের পাশাপাশি দীঘা হয়ে উঠবে তীর্থস্থান। এর আগেও অবৈধ ব্যবসায়ীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। কিন্তু তারা সেটা মানেননি। যে কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্যোগ নিয়ে হকারদের উচ্ছেদ করা হলো।