বর্তমানে বিয়েটা এখন আর শুধু চারদিনের উৎসব নয়। পশ্চিমা বিয়ের সংস্কৃতির মধ্য থেকে ব্যাচেলর পার্টি, প্রি ওয়েডিং, ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এখন ভারতীয় বিয়ের রীতি-নীতির অংশ হয়ে উঠেছে। বিশেষত প্রি ওয়েডিং ফটোশুটও এখন একটা অঙ্গ হয়ে উঠেছে বিয়ের। তার জন্য দরকার সুন্দর একটা পরিবেশের। যেটা আপনি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়েই পাবেন।
এমনিতেই ভ্রমণ স্থান হিসেবে পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের বেশ নামডাক রয়েছে। ঘোরাঘুরির মরসুমে এখানে পর্যটকদের বেশ ভিড় থাকে। এখন হবু দম্পতিরাও এখানে প্রি ওয়েডিং ফটোশুটের জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। সুন্দরী অযোধ্যা পাহাড়ে বেশ কিছু শুটিং এবং ফটোসেশন হয়। তবে প্রি ওয়েডিং ফটোশুটের জায়গা হিসেবে ইদানিং বেশ পরিচিতি পাচ্ছে এই পাহাড়।
প্রি ওয়েডিংয়ের জন্য অযোধ্যা পাহাড়ের বিশেষ সুবিধা হল প্রথমত এই পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য। দ্বিতীয়ত, খরচ ভীষণ কম। বিশেষ করে দম্পতিরাই জানাচ্ছেন খুব বেশি টাকা খরচ করে দূরে কোথাও ছবি তোলার থেকে অযোধ্যা পাহাড় তাদের কাছে অনেক বেশি সাশ্রয়ী এবং পছন্দের মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দার্জিলিং-গ্যাংটক অতীত, এই গরমে প্রাণ জুড়োতে ঘুরে আসুন এই ৬ টি দুর্দান্ত জায়গা
অযোধ্যা পাহাড় এবং ঝর্নার পাশে দাঁড়িয়ে বেশ সুন্দর ছবি তোলা যায়। এছাড়া এখানে শাল, মহুয়া, শিরিষ, সেগুন গাছের বনভূমি। রয়েছে চোড়িদা গ্রাম, চাণ্ডিল ড্যাম, পাখি পাহাড়, সীতা কুণ্ড, টুরগা ফলস ইত্যাদি স্থান। টুরগা বাঁধ ও হ্রদ এবং বামনি নদীর জলপ্রপাতকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটনকেন্দ্র।
আরও পড়ুন : ভারতে স্কাইডাইভিংয়ের জন্য সেরা ৪টি জায়গা, জীবনে একবার হলেও যাওয়া উচিত
কথিত আছে বনবাসের সময় রাম, লক্ষণ এবং সীতা এই জায়গাতে এসেছিলেন। সীতা তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়লে রাম এখানে তীরের সাহায্যে মাটি খুঁড়ে জল বের করেন। সেই জলাধার এখন সীতাকুন্ড নামে পরিচিত। এই জায়গার আরেকটি বিশেষত্ব হল এখানে ট্রেকিং করা যায়। বাঘমুন্ডি পাহাড়ে ট্রেকিং সাইটও রয়েছে। প্রকৃতিপ্রেমী এবং অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে এই জায়গা বেশ প্রিয়।