প্রচন্ড গরমে নাজেহাল হয়ে দক্ষিণবঙ্গের বাসিন্দারা কার্যত এখন উত্তরবঙ্গেই ছুটছেন। তবে দার্জিলিং-গ্যাংটকের মত ব্যায় সাপেক্ষ জায়গাতে ঘোরার মত সামর্থ্য তো আর সকলের থাকে না। তাদের জন্যও কিন্তু কাছে পিঠে কম খরচের মধ্যে ঘোরার বেশ ভালো কিছু জায়গা রয়েছে। যেখানে আপনি মাত্র ১০০ টাকা খরচে আরামসে গরমের ছুটি কাটাতে পারবেন। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল তেমনই এক জায়গার সন্ধান।
বাজেট যদি কম থাকে তাহলে যেতে পারেন জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জ থেকে। জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে এবং জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে ভ্রামরী দেবীর মন্দির রয়েছে। ৫১ সতীপীঠের অন্যতম হল এই দেবী মন্দির। এখানে সতীর বাম পা পড়েছিল। এই জায়গার উপর গড়ে উঠেছে দারুণ সুন্দর এক মন্দির। ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে তাই তীর্থ ক্ষেত্রে দেবী দর্শনও হয়ে যাবে।
প্রায় কয়েক শতক আগে ভ্রামরী মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এখানকার মন্দির খুবই জাগ্রত বলে ধরা হয়। মূল মন্দিরে প্রবেশপথে গণেশের মূর্তি রয়েছে। মূল মন্দিরে অলংকার বেষ্টিত অষ্টভুজা দেবীর মূর্তি আছে। এখানে দেবী সিংহবাহিনী এবং কৃষ্ণ বর্ণা। শরতকালে এখানে নবরাত্রি পুজো হয়। দুর্গাপূজা এবং মাঘী পূর্ণিমায় পুজো ও মেলা বসে।
আরও পড়ুন : থাকা-খাওয়া সম্পূর্ণ ফ্রি! বিনামূল্যে ঘোরার জন্য ভারতের সেরা ১০টি টুরিস্ট স্পট
এই এলাকাতে মা অন্নপূর্ণার দেবীর মন্দিরও রয়েছে। এই মন্দিরেও পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। মন্দিরে রোজ নিয়মিত পূজো হয় এবং ভোগ বিতরণ হয়। ঘুরতে এসে মন্দিরের প্রসাদ খেয়ে যেতে পারেন। মন্দিরের পাশে পর্যটকদের জন্য আনন্দমঠে রাত্রিবাসের ব্যবস্থাও আছে। বলতে গেলে থাকা এবং খাওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
আরও পড়ুন : তারাপীঠকে মহাপীঠ বলা হয় কেন? কেন ৫১ সতীপীঠের মধ্যে তারাপীঠ শ্রেষ্ঠ?
ভ্রামরী দেবীর মন্দিরের পাশেই বৈকুন্ঠপুর জঙ্গল রয়েছে। এখানে আবার কখনও কখনও হাতির পালের দেখা মেলে। সেইসঙ্গে আবার হরেক রকম পরিযায়ী পাখিদের দেখা মেলে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে কিছু দূর গেলে শিকারপুরে দেবী চৌধুরানী মন্দির রয়েছে। মাত্র ১০০ টাকা খরচ করে এত সুন্দর ভ্রমণের সুযোগ যেন মিস করবেন না।