প্রচন্ড গরমে একটু ঠান্ডা হতে এই সময়টা সকলেরই মন পাহাড়ের দিকে ছুটে চলে। দার্জিলিং-গ্যাংটকের পাশাপাশি বাঙালিরা এই সময় ঘোরার জায়গায় তালিকাতে কাশ্মীর -র নামও রাখেন। কাশ্মীর মানেই অসাধারণ পাহাড়ি সৌন্দর্য্য। তবে বছরের ঠিক কোন সময়টা কাশ্মীরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত জানেন? কখন কাশ্মীর গেলে বরফ পাওয়া যায়?
আমাদের বাংলার মত কাশ্মীরেও আবহাওয়ার নানা মরসুম থাকে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা, বসন্তে কাশ্মীরের আলাদা আলাদা রূপ ফুটে ওঠে। যদি বসন্তকালে অর্থাৎ মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে কাশ্মীরে যান তাহলে তাপমাত্রা থাকবে ৮ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। প্রত্যেক বছরের মার্চ-এপ্রিল মাসে ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল গার্ডেনে টিউলিপ উৎসব চলে।
কাশ্মীরের টিউলিপ গার্ডেন এশিয়ার মধ্যে বৃহত্তম। বসন্তকালে লাল, হলুদ, সাদা, বেগনী রঙের হাজার হাজার টিউলিপে ভরে যায় বাগান। তখন স্বর্গের মত সুন্দর মনে হয় এই জায়গাকে। কাশ্মীরে গরমকাল থাকে মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে। এই সময় এখানকার তাপমাত্রা থাকে ১২ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাসের মধ্যে কাশ্মীরের তাপমাত্রা ৯ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। দুর্গা পূজার সময়টাতে অনেকেই কাশ্মীরে ভিড় জমান। তবে কাশ্মীরে যদি বরফ পেতে চান তাহলে শীতকালে যেতে হবে। শীতে কাশ্মীরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যায়।
আরও পড়ুন : বাংলার সেরা ১০টি হিল স্টেশন, গরমে বেড়ানোর জন্য একেবারে আদর্শ
কাশ্মীরে গিয়ে কী কী দেখবেন?
মোটামুটি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাশ্মীর ঘুরে নেওয়া যায়। শ্রীনগর, গুলমার্গ, সোনমার্গ, পহেলগাঁও, অনন্তনাগের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্য দিকে প্রাচীন স্থাপত্য, কার্পেট, পশমিনার কাজ, সুগন্ধি মশলা, আখরোট, কাঠের উপর সূক্ষ্ম জালির কাজ, কাঠের শিকারা, ‘হাউজবোট’, টিউলিপ গার্ডেন, ডাল লেকের সৌন্দর্য্য, বরফাবৃত পীরপাঞ্জাল শৃঙ্গ ইত্যাদি দেখতে পারেন।
আরও পড়ুন : অনেক হল দার্জিলিং-গ্যাংটক! গরমের ছুটিতে ঘুরে আসুন এই ৩ শৈল শহর থেকে
কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে গেলে কত খরচ হবে?
কলকাতা থেকে জম্বু পর্যন্ত ট্রেনে স্লিপিং ক্লাসের ট্রেন ভাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। এসি কোচে গেলে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা খরচ হয়। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে অনেক মিনিবাস পাওয়া যায়। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হয়। এরপর শ্রীনগরে অনেক হোটেল পাবেন। ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে দুই বেডের রুম পেয়ে যাবেন। মোটকথা কাশ্মীর ভ্রমণের খরচ ৭০০০-৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। ৩০,০০০ টাকায় ভালোভাবে থাকা-খাওয়া ও কাশ্মীরে চুটিয়ে শপিং হয়ে যাবে।