দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে থাকার জন্য বেশিরভাগ মানুষই হোটেল বুক করেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা, যেকোনও সময় যখন খুশি হোটেলে চেক ইন করা যায়। কিন্তু হোটেল থেকে বেরোনোর একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। আর সেটা হল বেলা ১২.০০ টা। এই সময়ের মধ্যে হোটেলের ঘর খালি করে দিতে হয়। কিন্তু কেন এই নিয়ম আছে জানেন? জেনে নিন আসল সত্যিটা।
ছোট থেকে বড় প্রত্যেকটি হোটেলেই কার্যত এই বেলা ১২ টার সময় চেক আউটের নিয়ম থাকে। যদিও গ্রাহকের কাছ থেকে কিন্তু হোটেল কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘন্টার জন্যে হোটেল বুকিংয়ের চার্জই নিয়ে থাকে। তবে গ্রাহক কিন্তু ২৪ ঘন্টার জন্য হোটেলের রুম পান না। অবশ্য এর পেছনে হোটেল কর্তৃপক্ষের কিছু অকাট্য যুক্তি আছে। জানুন সেগুলো কী কী।
হোটেলের রুম পরিষ্কার করা
একজন গ্রাহক চলে গেলে পরবর্তী গ্রাহক আসার আগে হোটেলের কর্মচারীদের হোটেলের ঘর ও বাথরুম পরিষ্কার করে ফেলতে হয়। ঘর ও বাথরুম পরিষ্কারের পাশাপাশি বিছানার চাদর পরিবর্তন, টয়লেটের প্রসাধনী পরিবর্তন করতে হয়। গ্রাহক যদি দেরি করে রুম ছাড়েন তাহলে এতে কর্মীদের অসুবিধা হয়।
গ্রাহকের সুবিধা
বেশিরভাগ মানুষ এখন খুব সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে পারেন না। তাদের কথা মাথায় রেখেই হোটেল ছাড়ার সময় একটু দেরিতে রাখা হয়। যাতে গ্রাহকেরা ঘুম থেকে উঠে হোটেল ছাড়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার যথেষ্ট সময় পান। এতে হোটেল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি গ্রাহকেরও সুবিধা হয়।
আরও পড়ুন : মাত্র ১০০০ টাকাতেই বিলাসবহুল হোটেলে থাকতে পারেন! রইল দার্জিলিংয়ের সেরা হোটেলের ঠিকানা
হোটেলের বাজেট বাঁচানো
হোটেলের চেক আউটের সময় একটু বেলার দিকে হওয়ার কারণে হোটেলের কর্মচারীরা তাদের কাজ করার যথেষ্ট সময় পান। এতে তাড়াহুড়ো করে সব কাজ শেষ করতে হয় না। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন পড়ে না। হাতে যথেষ্ট সময় থাকলে কম কর্মী দিয়েই হোটেলের সব কাজ করিয়ে নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন : এক টিকিটে ঘুরে নিন গোটা ভারত, যাত্রীদের সুবর্ণ সুযোগ দিচ্ছে ভারতীয় রেল
হোটেল কর্মীদের সুবিধা
হোটেল কর্মীদের দাঁড়াই যেহেতু হোটেলের বেশিরভাগ কাজ পরিচালিত হয় তাই তাদের কাজ করার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়াও প্রয়োজন। পুরনো গ্রাহক গিয়ে নতুন গ্রাহক চেক ইন করার আগে তারা তাদের কাজ গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ পান। হাউসকিপিং এবং অন্যান্য পরিষেবাগুলো তারা সঠিকভাবে দিতে পারেন।