যাত্রীদের টিকিট কাটার সুবিধার্থে অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও টিকিট বুকিংয়ের সুবিধা দিয়েছে ভারতীয় রেল। তবুও যাত্রীদের একাংশ এখনও বিনা টিকিটে যাতায়াতের প্রবণতা ছাড়তে পারছেন না। বিনা টিকিটে যাত্রীদের জন্য রেলের ক্ষতি হয় বেশ। তবে জানেন কি এই বিনা টিকিটের যাত্রীদের থেকেই প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে রেলের। কীভাবে? জেনে নিন।
টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে রোজ কয়েক হাজার যাত্রী ধরা পড়েন। এদের থেকে জরিমানা বাবদ টিকিট মূল্যের থেকেও অনেক গুণ বেশি টাকা ধার্য করা হয়। অনেকের আবার জেল পর্যন্ত হয়। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত দেড় লক্ষ বিনা টিকিটে যাত্রী ধরা পড়েছেন ভারতে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এই সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষ ৩০ হাজার। অর্থাৎ গত বছর তুলনায় এই বছর যাত্রীদের মধ্যে টিকিট না কাটার প্রবণতা বেড়েছে বই কমেনি।
এই সময়কালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে হাওড়া ডিভিশন থেকে সবথেকে বেশি বিনা টিকিটের যাত্রী ধরা পড়েছেন। তাদের থেকে পূর্ব রেলের মোট আয় হয়েছে ৩ কোটি ২২ হাজার টাকা। এরপরই রয়েছে আসানসোল ডিভিশনের স্থান। এখানে ২ কোটি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে ১ কোটি ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা আদায় হয়েছে। মালদা ডিভিশন থেকে ৮৬ লক্ষ টাকা আদায় হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভারতের প্রাচীনতম রেলস্টেশন, মোট ১১ টি স্টেশনের মধ্যে ২টি রয়েছে বাংলায়
পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে বিভিন্ন ট্রেনে অভিযান চালিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করেছে রেল। বিনা টিকিটে ট্রেনের সফর আটকাতে ইদানিং অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘনঘন অভিযানের ফলে বিনা টিকিটে যাত্রীদের সংখ্যা কমেছে কিনা জানা নেই তবে এতে রেলের আয় ব্যাপক বাড়ছে। হিসেব বলছে ২০২৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বিনা টিকিটের যাত্রীদের থেকে পূর্ব রেল মোট ৭.৫৫৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
আরও পড়ুন : সিকিমে খুলে গেল নতুন পর্যটন কেন্দ্র, কোথায় কীভাবে যাবেন জেনে নিন
২০২৩ সালে পূর্ব রেলের ৬.৭৫৪ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল বিনা টিকিটে যাত্রীদের ধরে। অর্থাৎ এক বছরে সংখ্যাটা প্রায় ১ কোটি টাকা বেড়েছে। শুধু বাংলাতেই এই পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে। রেলের দাবি, শুধু বিনা টিকিটের যাত্রীদের ধরা নয়, যাত্রীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা দিতে এবং রেল পরিবহন ব্যবস্থা আর উন্নত করার জন্য তারা এই ধরনের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।