বাঙালি পাহাড়প্রেমীদের কাছে দার্জিলিং-গ্যাংটক খুবই প্রিয় জায়গা। কম সময়ে কম খরচের মধ্যে মনের মত ভ্রমণ হয়। দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটক যারা বাসে কিংবা ট্রেনের বদলে গাড়িতে যাতায়াত করেন তাদের ক্ষেত্রে খরচটা কিছুটা বেশি হয়। বিশেষ করে সিকিম যাওয়ার পথে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটক এবং সেখান থেকে সাইট সিইংয়ের খরচ বিস্তর। এবার এই খরচের উপর লাগাম টানতে নতুন পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র সরকার।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গ্যাংটক ও তারপর নাথুলা পাস, লাচুং কিংবা ছাঙ্গু লেক ইত্যাদি জায়গাতে যেতে গেলে গাড়ি ভাড়া বাবদ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই লাগাম ছাড়া যানবাহনের ভাড়া নিয়ন্ত্রণের দাবী জানিয়ে আসছিলেন যাত্রীরা। কেন্দ্র সরকার এবার যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন ব্যবস্থা নিল।
সম্প্রতি সেন্ট্রাল পাবলিক গ্রিভ্যান্স রিড্রেস এন্ড মনিটরিং সিস্টেমেরং তরফ থেকে সিকিম সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ১৩ ই মে এই যে চিঠি পাঠানো হয়েছে তাতে অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ট্রাভেল এজেন্সি পারমিট এবং টুরিস্ট স্পটে ভ্রমণ করার জন্য যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে সেটা জানানো হয়েছে চিঠিতে।
এছাড়াও নাথুলা পাস যাওয়ার পথে খাঁড়াই রাস্তায় পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামোর যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। গাড়ি ভাড়া বাবদ পর্যটকদের রীতিমত লুট করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন কৃষি মন্ত্রকের প্রাক্তন অতিরিক্ত কমিশনার কেপি ওয়াসনিক। আসলে কিছুদিন আগেই তিনি পরিবার নিয়ে দার্জিলিং ও সিকিম ভ্রমণে তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়েছেন।
আরও পড়ুন : ঘুম নয়, বিশ্বের উচ্চতম রেল স্টেশন কোনটি? ৯৯% মানুষ জানেন না
গত ২৭শে এপ্রিল থেকে ৫ই মে দার্জিলিং এবং সিকিম ভ্রমণ করেছেন কেপি ওয়াসনিক এবং তার পরিবার। এই ভ্রমণের পথে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে অব্যাবস্থা লক্ষ্য করেছেন। জিরো পয়েন্ট এবং ইয়ুমথং ভ্যালি ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য পারমিট হিসেবে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো তাদের থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে। নাথুলা ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য আরও ৪ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে পারমিট হিসেবে কারণ দেখিয়ে।
আরও পড়ুন : এক ক্লিকেই কনফার্ম হবে ট্রেনের টিকিট! নতুন অ্যাপ লঞ্চ করলেন মুকেশ আম্বানি
কেপি ওয়াসনিক যাত্রাপথে এইভাবে পর্যটকদের লুট করা হচ্ছে বলে দাবী করেছেন। ফিরে গিয়ে তিনি কেন্দ্র সরকারের কাছে এই মর্মে তার সমস্ত অভিযোগ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র সরকার। এবার সিকিম সরকার ব্যবস্থা নিলে যাত্রীরা আরও সহজে সিকিম ঘোরার সুবিধা পাবেন।