ভরা বর্ষায় পাহাড়ের রূপ যে না দেখেছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য তার অদেখাই থেকে গিয়েছে। বর্ষায় ধস নামার ভয়ে অনেকেই দার্জিলিং কিংবা গ্যাংটক যেতে চান না। তবে মনে সাহস থাকলে যেতে পারেন কালিংপং এর সবথেকে সুন্দর গ্রাম সানটোক ভিলেজে। বর্ষার সময় এই গ্রাম আলাদাই এক রূপে ধরা দেয়। জানুন এখানে কীভাবে যাবেন ও কী কী দেখবেন।
সানটোক ভিলেজ লাভা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে এবং কালিংপং থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে ৪৩০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। অপার সৌন্দর্যে ভরে রয়েছে এখানকার প্রকৃতি। তিব্বতের পাহাড়গুলো দেখা যায় এখান থেকে। দেখা যায় বরফাবৃত হিমালয়। পাহাড়ের মানুষের জীবন খুব কাছ থেকে দেখতে পাবেন এখানে এলে।
সানটোক ভিলেজে এলে আপনি দেখবেন বিভিন্ন আকৃতি এবং রংয়ের সারি সারি পাহাড়। পাহাড় এবং নদী বেষ্টিত আদর্শ হিমালয়ান গ্রাম বলা হয় একে। এখানে বিভিন্ন জায়গাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা রকম বাহারি অর্কিডের গাছ। তাতে নানা রকম ফুল ফুটে আছে। এখানে গেলে নিরিবিলিতে প্রকৃতির হলে দুটো দিন কাটালে মনের সব উদ্বেগ ঝেড়ে ফেলতে পারবেন।
আরও পড়ুন : বৃষ্টির দিনে লং ড্রাইভে যাবেন? পার্টনারকে নিয়ে ঘুরে আসুন ৪ নদীর ধার
কীভাবে যাবেন?
নিউ মাল জংশন থেকে সানটোক ভিলেজের দূরত্ব ৬৩ কিলোমিটার। এখানকার পরিবেশ খুবই নিরিবিলি এবং শান্ত। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ১০৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই জায়গা। এখানে পৌঁছতে গাড়ি ভাড়া লাগবে ৪ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন : সবুজ পাহাড়ের গায়ে মেঘের আনাগোনা! ঘুরে আসুন মিনি তিব্বত থেকে
আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে থেকে শান্ত-নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে চলে আসুন এই গ্রাম
কোথায় থাকবেন?
এখানে আপনি কটেজে থাকতে পারবেন। তবে কটেজ যেহেতু এখানে খুবই কম সংখ্যায় রয়েছে তাই আগে থেকে বুকিং করে আসতে পারলে ভালো হয়। এখানে এক রাতের জন্য থাকা এবং খাওয়া খরচ মিলিয়ে ১৬০০ টাকা পড়বে।