ঘুরতে যেতে কে না ভালবাসেন? কিন্তু মাসের খরচের মধ্যে থেকে বেড়ানোর খরচ জুটিয়ে উঠতে পারেন না অনেকেই। তাই আজকের এই প্রতিবেদনে রইল এমন কিছু জায়গার সন্ধান যেখানে খুবই কম খরচে ঘুরে আসতে পারবেন আপনি। এই জায়গাগুলো রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। বর্ষার সময় পশ্চিম মেদিনীপুর ভ্রমণ খুব একটা মন্দ হবে না। জানুন কীভাবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর হতে পারে আপনার উইকেন্ড ডেস্টিনেশন। এক দু-দিনের মধ্যেই ঘুরে ফেলতে পারবেন এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো। যার মধ্যে রয়েছে মন্দির গ্রাম, কৃত্রিম নগরী, শিলাবতী নদী, গনগনি এবং ইতিহাস প্রসিদ্ধ কিছু জায়গা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পাথরা গ্রামকে বলা হয় মন্দির গ্রাম। সেখানে রয়েছে একাধিক সুন্দর সুন্দর মন্দির।
এই গ্রামের পাশ দিয়ে কংসাবতী নদী বয়ে চলেছে। আপনি কলকাতা থেকে ট্রেনে বা বাসে করে মেদিনীপুরে পৌঁছে তারপর সেখান থেকে অটো কিংবা টোটো বা ছোট গাড়ি ভাড়া করে পাথরা গ্রামে যেতে পারবেন। থাকতে পারবেন সরকারি কিংবা বেসরকারি লজগুলোতে।
এবার আসা যাক পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃত্রিম নগরীতে। এখানে সুন্দর সুন্দর ঘর, এয়ারপোর্ট, রেললাইন, স্টেশন, প্লেন রয়েছে। এখানকার ঘরগুলো ছবির মত সুন্দর। চন্দ্রকোনা রোডের ডুকি এলাকায় অবস্থিত ফিল্মসিটি এখানকার অন্যতম আকর্ষণ। কলকাতা থেকে চন্দ্রকোনা রোড স্টেশনে নেমে তারপর গাড়ি ধরে এখানে পৌঁছানো যাবে।
এছাড়া যেতে পারেন গনগনিতে। যাকে বলা হয় বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন। এই পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শিলাবতী নদী। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা ব্লকের মধ্যে রয়েছে গনগনি। বাসে কিংবা ট্রেনে করে আসতে পারেন এখানে। কলকাতা থেকে গড়বেতা স্টেশনে নেমে তারপর গাড়ি করে গনগনি যাওয়া যায়। এখানে খুবই সামান্য খরচে হোমস্টেতে থাকতে পারবেন।
আরও পড়ুন : অনেক হল দীঘা-পুরী, এবার ঘুরে আসুন কলকাতার কাছাকাছি এই ৬ সি বিচ থেকে
বাংলার ওড়িশা সীমানা এলাকাতে রয়েছে মোগলমারি। এখানে গৌতম বুদ্ধের সময়ের নানা স্মৃতি রয়েছে। রয়েছে মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া কয়েকশো বছরের পুরনো নানা জিনিস। ট্রেনে বেলদা কিংবা দাঁতন স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাসে করে মোগলমারি পৌঁছানো যায়। আবার খড়গপুর স্টেশন থেকে জাতীয় সড়ক ধরে ওড়িশার দিকে যাওয়ার পথে মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ডেও নামতে পারেন।
আরও পড়ুন : পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাবেন? দেখুন সেরা ৪ টুরিস্ট স্পটের ঠিকানা
সবশেষে যেতে পারেন পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক ব্লক কেশিয়াড়ির গগনেশ্বর কুরুমবেড়াতে। এই ঐতিহাসিক ক্ষেত্রকে খুবই সুন্দর করে সাজানো হয়েছে পর্যটনের উদ্দেশ্যে। খড়গপুর স্টেশনে নেমে কেশিয়াড়ি বাস কিংবা ছোট গাড়ি ধরে এখানে পৌঁছানো যায়।