একঘেয়ে পুরী-দিঘা, মন্দারমণি ঘুরে ঘুরে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন? চাইছেন কোনও নতুন সমুদ্র সৈকতের সন্ধান? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। খুব বেশি দূরে নয়, কলকাতার ধারে কাছেই রয়েছে ৬ সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে ঘুরে আসতে পারেন। দেখুন কী কী নাম রয়েছে এই তালিকায়।
জুনপুট
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের কাছেই রয়েছে জুনপুট সমুদ্র সৈকত। কলকাতা থেকে দূরত্ব ১৬০ কিলোমিটার। পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে জুনপুটের দূরত্ব ১০ কিলোমিটার। নিরিবিলিতে সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করতে চাইলে ঘুরে নিন এই জায়গা।
দক্ষিণ পুরুষোত্তম
ঘুরে আসতে পারেন দক্ষিণ পুরুষোত্তম থেকেও। পূর্ব মেদিনীপুরের এই সমুদ্র সৈকতের নাম খুব একটা বেশি মানুষ জানেন না। কাজেই পর্যটকদের ভিড় কম থাকে। এখানে কিছু ছোট হোটেল এবং টেন্ট ক্যাম্প রয়েছে। ক্যাম্পে বন ফায়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে। এখানে ব্যাকপ্যাকার্স ক্যাম্পে চার বেলা খাওয়া-দাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু ১৫০০ টাকা ভাড়া হয়।
মৌসুনী দ্বীপ
এই দ্বীপের নাম হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন। কলকাতা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মৌসুনী দ্বীপ। প্রথমে নামখানা গিয়ে তারপর সেখান থেকে টোটো ধরে এখানে পৌঁছানো যায়। এখানে বেশ কিছু ক্যাম্প রয়েছে যেখানে কম খরচে থাকা এবং খাওয়া সেরে নিতে পারবেন। মাথাপিছু ভাড়া হবে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন : ভুলে যান দিঘা-মন্দারমনি, মৎসপ্রেমী বাঙালির সেরা ঠিকানা এখন যমুনাসুল সমুদ্র সৈকত
বগুড়ান জলপাই
এটাও বাংলার একটি অখ্যাত সমুদ্র সৈকত। অখ্যাত, কিন্তু ফেলনা নয়। এখানে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময় সমুদ্রের মায়াবী রূপ চোখে পড়বে। কলকাতা থেকে ৪ ঘন্টায় এখানে পৌঁছানো যায়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সমুদ্র তটের উপর লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন অনেক। এছাড়া সমুদ্রে জেলেদের মাছ ধরা দেখতে পাবেন নিজের চোখে।
আরও পড়ুন : বর্ষায় দু-একদিনের ছুটিতে ঘুরে ফেলুন এই ৫ সমুদ্রতট
লক্ষ্মীপুর
কলকাতার কাছেই রয়েছে লক্ষ্মীপুর সমুদ্র সৈকত। বকখালীর খুব কাছেই রয়েছে এই জায়গা। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ১৩৬ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগরের এই সমুদ্র সৈকতের লাগোয়া ছোট্ট গ্রামটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন ভরিয়ে দেবে। এখানকার সমুদ্রের অপরূপ সৌন্দর্যের কারণে একে মিনি গোয়াও বলা হয়। এখানে সমুদ্রের ধারে অনেক বড় বড় উইন্ড মিল রয়েছে।
আরও পড়ুন : পাহাড় নাকি সমুদ্র, মন ভালো করতে কোথায় যাওয়া উচিত?
বাঁকিপুট
বঙ্গোপসাগরের আরেকটি সমুদ্র সৈকত বাঁকিপুট। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে উল্লেখিত কপালকুণ্ডলার মন্দির রয়েছে এখানে। ঝাউবনে ঘেরা সমুদ্র সৈকতে অসংখ্য লাল কাঁকড়া দেখতে পাবেন। আর দেখবেন ব্রিটিশ আমলে তৈরি দরিয়াপুরের বাতিঘর।