অ্যাডভেঞ্চার এবং পাহাড়প্রেমীদের কাছে ট্রেকিং বিরাট বড় একটা শখ। পাহাড়ের গা বেয়ে উঠতে উঠতে অজানা জায়গায় দেখা, প্রকৃতির সান্নিধ্য উপভোগ করার মধ্যে আলাদাই এক নেশা রয়েছে। সেটা যারা ট্রেকিং করেন তারাই বোঝেন। কিন্তু ট্রেকিংয়ে যাওয়ার আগে কিছু বিষয়ে মাথায় রাখতেই হবে। ট্রেকিং করার আগে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম সঠিক জুতো নির্বাচন।
ট্রেকিং করতে গেলে আপনি সাধারণ জুতো পরে যেতে পারবেন না। আপনি রাস্তাঘাটে যেমন জুতো পরে চলাচল করেন, ট্রেকিংয়ে সেগুলো চলবে না। খাড়া পাহাড়ের পথ বেয়ে উঠতে গেলে যেমন জুতো দরকার তেমন জুতোই পরতে হবে। দেখে নিন ট্রেকিংয়ের জুতো কেমন হওয়া উচিত।
গ্রিপ ভাল করে লক্ষ্য করুন
জুতোর গ্রিপ কেমন সেটা আগে ভালোভাবে দেখে নিন। জুতোর খাঁজ যদি ভালো হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে জুতোর গ্রিপ ভালো। এই ধরনের জুতো কাদার মধ্যেও যাতায়াতেও অসুবিধায় ফেলবে না আপনাকে। ট্রেকিং করার জন্য একেবারে আদর্শ।
জুতোর সোল
গ্রিপ দেখার পাশাপাশি জুতোর সোলটাও দেখে নিতে হবে। চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করার জন্য আপনার জুতোর সোল নমনীয় হতে হবে। আপনি লোহার কোনও বস্তু দিয়ে বাইরে থেকে মেরেও নমনীয়তা বুঝে নিতে পারবেন।
আঙ্কেল সাপোর্ট
খেলার জুতো বা ট্রেকিংয়ের জুতোর গ্রিপ, সোল ভালো থাকলেও অনেক সময় আঙ্কেল সাপোর্ট থাকে না। আঙ্কেল সাপোর্ট না থাকলে অমসৃণ খাড়া পথ দিয়ে ওঠানামা করতে গিয়ে গোড়ালি মচকে যেতে পারে।
জুতোর সাইজ
ট্রেকিংয়ছর জন্য জুতো কেনার সময় আপনার সাধারণ সাইজের তুলনায় এক সাইজ বড় জুতো কেনার চেষ্টা করুন। তাহলে দীর্ঘ পাহাড়ি পথে হাঁটলেও আপনার পায়ের উপর চাপ কম পড়বে। তবে খুব বেশি বড় সাইজের জুতো কিন্তু কিনবেন না।
আরও পড়ুন : বর্ষাকালে বেড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গের সেরা ১০ টি জায়গা
আরও পড়ুন : পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে যাচ্ছেন? এই বিষয়গুলো না জানলেই বিপদে পড়বেন
জল প্রতিরোধী জুতো কিনুন
পাহাড়ে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টি নামতে পারে। কিংবা খরস্রোতা নদীর ধার দিয়ে যাওয়ার সময় জুতো ভিজে যেতে পারে। ভেজা জুতো অনেকক্ষণ পড়ে থাকলে শরীর খারাপ হবে। তাই এমন জুতো কিনুন যা জল প্রতিরোধ করতে পারে। জলে ভিজে যাবে না এমন জুতো কিনবেন।