কলকাতার কালীঘাট মন্দির বরাবরই ভক্ত এবং পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গা হয়ে থেকেছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করেন এখানে। পূজা-পার্বণের দিনে তো সংখ্যাটা হাজার পেরিয়ে যায়। সম্প্রতি কালীঘাট মন্দির সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মন্দিরের তিনটি চূড়া সোনা দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। তবে এর থেকেও বড় চমক অপেক্ষা করে রয়েছে কালীঘাটের জন্য। এমনটাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০০ বছরের পুরনো কালীঘাট মন্দিরে বর্তমানে সব থেকে বড় চমক হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্দিরের তিনটি সোনা বাঁধানো চূড়া। ৫০ কেজি সোনা লেগেছে এর জন্য। খরচ হয়েছে কোটি কোটি টাকা। তবে কালীঘাটে আসা পর্যটক এবং ভক্তদের জন্য এবার নতুন আকর্ষণ হতে চলেছে স্কাইওয়াক। এমনটাই বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কবে চালু হবে কালীঘাটের স্কাইওয়াক?
নববর্ষের আগে চৈত্র সংক্রান্তির দিন কালীঘাটে মায়ের পুজো দিতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কাইওয়াক নিয়ে তিনি বড় ঘোষণা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী আগস্ট মাসের মধ্যেই কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ শেষ হয়ে যাবে। বর্তমানে মন্দির সংস্কারের পাশাপাশি স্কাইওয়াক বানানোর কাজও চলছে জোর কদমে।
তবে আগস্ট মাসের মধ্যে স্কাইওয়াক বানানোর কাজ শেষ হলেও তা সাধারণ মানুষের জন্য কবে খুলে দেওয়া হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে তিনি কিছু জানাননি। কিন্তু স্কাইওয়াক যে আগামী দিনে কালীঘাট মন্দিরের অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। যেভাবে মন্দির সংস্কারের কাজ এগোচ্ছে তাতে আগামী দিনে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর মধ্যে কালীঘাট এগিয়ে থাকবে বলেই দাবি করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন : মাত্র ১৫০০ টাকায় দার্জিলিং! কীভাবে যাবেন? কোথায় থাকবেন? দেখুন ট্যুর প্ল্যান
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কালীঘাট মন্দিরের সংস্কারের জন্য ২০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এরমধ্যে মন্দিরের চূড়াতে সোনা বাঁধানোর জন্য মুকেশ আম্বানি টাকা দিয়েছেন। তবে বাকি কাজ রাজ্য সরকারের তরফ থেকেই করা হচ্ছে। কুণ্ডু পুকুর থেকে মন্দিরের ভিতরে সংস্কারের কাজ চলছে। প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই মন্দিরের রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক গুরুত্ব। যা আজ থেকে ১০০ বছর পরেও মানুষকে অভিভূত করে দেবে।