ভারতীয় রেল, কম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবথেকে সাশ্রয়ী বলা চলে। এবার বেশ কিছু ট্রেনের গতিবেগ পরিবর্তন করার কথা ভেবেছে রেল দপ্তর। বাড়ানো হবে বেশকিছু দূরপাল্লার ট্রেনের গতিবেগ। যার ফলে আরও কম সময়ে পৌঁছাতে পারবেন গন্তব্যে। কোন কোন ট্রেনের গতিবেগ বাড়লো? জেনে নিন।
পূর্ব রেলওয়ের তরফ থেকে ট্রেনের গতিবেগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এখন। এবার থেকে কিছু ট্রেনের গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা করা হয়েছে। এর জন্য রেলের তরফ থেকে এখন আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। পুরনো বগি পাল্টে ফেলে বিভিন্ন ট্রেনে এলএইচবি কোচ বসানো হচ্ছে।
ট্রেনে বসানো হবে FIAT বগি। এগুলি অত্যন্ত উন্নত মানের যেগুলো দ্রুত চালানো যায়। আধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এই কামরাগুলো যেমন খুব তাড়াতাড়ি ছুটতে পারে তেমনই যাত্রীদের জন্য ভীষণ আরামদায়ক। এগুলো বেশ লম্বা হয়, হালকা হয়। অনেক যাত্রী একসঙ্গে বসে যাতায়াত করতে পারবেন। তাও কম সময়ে।
এমন আধুনিক উন্নতমানের ট্রেনের কামরাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ বেশ কম। পূর্ব রেলের বিভিন্ন রুটে এরকম ট্রেন চালানো হবে। এর মধ্যে যাত্রীদের জন্য ভালো মানের আসন, বায়ু চলাচল ব্যবস্থা এবং স্থিতিশীল ব্যবস্থা থাকবে। এই তালিকাতে রয়েছে 12361/62 আসানসোল – ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস (সাপ্তাহিক )এক্সপ্রেস, যার গতিবেগ ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।
এছাড়াও এই তালিকায় আছে 12375/76 টাটানগর – জাসিদিহ এসএফ এক্সপ্রেস, যার গতিবেগ ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। 13287/88 দুর্গ – আরা এক্সপ্রেস যার গতিবেগ ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। 22843/44 সম্বলপুর – পাটনা এসএফ এক্সপ্রেস যার গতিবেগ ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। 18419/20 পুরী – জয়নগর (সাপ্তাহিক) এক্সপ্রেস যার গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
আরও পড়ুন : লাল, সবুজ, নীল! ট্রেনের আলাদা আলাদা রং হয় কেন? কোন ট্রেনের অর্থ কী?
আরও পড়ুন : অত্যাধুনিক হচ্ছে বাংলার এই রেলস্টেশন! থাকবে বিমানবন্দরের মত সুযোগ-সুবিধা
18449/50 পুরী – পাটনা বৈদ্যনাথধাম এক্সপ্রেস যার গতি বেগ ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। 15047/48 কলকাতা – গোরখপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস যা ১১ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে ছুটতে পারে। 15049/50 কলকাতা – গোরখপুর এক্সপ্রেস যার গতিবেগ ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। 15051/52 কলকাতা – গোরখপুর এক্সপ্রেস যার গতিবেগ ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা।