সস্তায় এবং কম সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য ভারতবর্ষে কোটি কোটি মানুষ ভারতীয় রেল পরিবহন ব্যবস্থার সুবিধা নেন। এই যাত্রার মাঝে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন ভারতীয় রেলে আলাদা আলাদা রঙের ট্রেন রয়েছে অনেক। কোনটা লাল, কোনটা সবুজ, কোনটা নীল, কোনটা আবার হলুদ, ট্রেনের এই আলাদা আলাদা রঙের অর্থ কী?
নিত্যদিনের যাত্রা থেকে শুরু করে দূরপাল্লার যাত্রা কিংবা কোনও বিশেষ টুর প্যাকেজ ভারতীয় রেল সব রকমের ব্যবস্থা করেছে সব ধরনের যাত্রীদের কথা ভেবে। গরিব রথ, রাজধানী, শতাব্দী, দুরন্ত এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে লোকাল ট্রেন এমনকি বন্দে ভারতেরও রং আলাদা। সেমিফাস্ট বা এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রে নীল-হলুদ রং হয়। গরিব রথের রং সবুজ। আবার রাজধানীর রং লাল।
আসলে প্রত্যেকটা ট্রেনের এরকম আলাদা আলাদা রং হওয়ার পেছনে রয়েছে বিশেষ কারণে। বিশেষ করে দূরপাল্লার ট্রেনগুলোতে এরকম আলাদা আলাদা রঙ হয়। রাঁচি রেল বিভাগের সিনিয়র ডিসিএম নিশান্ত কুমার সম্প্রতি জানিয়েছেন এর কারণ। তার কথায় লাল, নীল, সবুজ, হলুদ রং গুলো আসলে ট্রেনের বিভিন্ন ক্যাটাগরিকে বোঝায়।
শতাব্দী ও রাজধানীর মত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রে লাল রঙের কোচ বসানো হয়। যাতে এই এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোকে আলাদা করে চেনা যায়। এই ট্রেনের কোচগুলো অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি যে কারণে অন্যান্য বগির তুলনায় বেশ হালকা হয়। তাই খুব দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে ট্রেনগুলো। যদিও এই লাল রঙ বেছে নেওয়ার পেছনে বিশেষ কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন নিশান্ত কুমার। রেল এই রং নির্বাচন করেছিল।
এছাড়া ভারতীয় রেলের অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনের কোচের রং হয় নীল। এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোর ক্ষেত্রে এরকম নীল রংয়ের কোচ দেখা যায় বেশি। এই ধরনের ট্রেনগুলো একটু ভারী হয়। যেহেতু ট্রেনের কোচগুলো লোহা দিয়ে তৈরি। তাই ট্রেনের গতিবেগ রাজধানী ও শতাব্দীর থেকে কম থাকে।
আরও পড়ুন : ভারতের এই ৫ রাজবাড়িতে রাজার হালে থাকতে পারবেন আপনিও! জেনে নিন খরচ
আরও পড়ুন : ট্রেনের টিকিট বাতিল করবেন কীভাবে? জানুন ভারতীয় রেলের নিয়ম
অন্যদিকে গরিব রথের মত ট্রেনগুলোতে সবুজ কোচ ব্যবহার করা হয়। গরিবরথ দেশের প্রত্যেকটি রাজ্য থেকে রাজধানী দিল্লি পর্যন্ত চলাচল করে। তাই রেলের তরফ থেকে আলাদা একটি রং হিসেবে সবুজ রং বেছে নেওয়া হয়েছে গরিব রথকে আলাদা করতে। যাতে যাত্রীরা বিশেষ এই ট্রেনটিকে চিনে নিতে পারেন।